সংবাদদাতা
চালক-সুপার ভাইজার-চেকার সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে ক্সবাজার-চট্টগ্রাম,কক্সবাজার-ঢাকা রোড়ে চলাচলরত লাক্সারী পরিবহন এস. আলম।কর্মচারীদের কারণে দিন দিন স্বকীয়তা হারাচ্ছে এই পরিবহনটি। কক্সবাজার-চট্টগ্রামের যাত্রীদের কাছে অসম্ভব জনপ্রিয় ঐতিহ্যবাহী পরিবহন সংস্থাটির ইমেজ ক্ষুন্নে ভর করেছে স্বয়ং পরিবহন কর্তৃপক্ষ নিয়োজিত চেকার নামধারী অসাধুরা। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রোড়ে নিয়োগ প্রাপ্ত প্রায় হাফ ডজন চেকার- পরিবহনটির দূর্নীতিবাজ চালক-সুপার ভাইজার অনৈতিক ধা›দ্ধায় একাকার হয়ে এস.আলম পরিবহনের বারোটা বাজাচ্ছেন। ফলে ক্লোজ ডোর নাম দিয়েও এস.আলম কক্সবাজার- চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় ৩০/৩৫ টি স্পটে হরদম যাত্রী উঠানামা করছে।

সূত্র জানায়-সূদীর্ঘ তিন দশক ধরে কক্সবাজার- চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীদের কাছে আলোচিত নাম এস.আলম পরিবহন। উক্ত সড়কে বর্তমানে ৮০/৮৫ টি এস.আলম বাস যাত্রী সেবা দিয়ে আসছে। কিন্তু ঐতিহ্যবাহী পরিবহন সংস্থাটির এখন সেই অবস্থা নেই। যতক্ষন ইঞ্জিন বক্স খালি থাকছে ততক্ষণ পর্যন্ত যাত্রী উঠতে আর নামতে পারছে। সম্প্রতি চেকার নামধারী সামশু- বাদশা সিন্ডিকেট ও অসাধু চালক, সুপার ভাইজার একাকার হয়ে কর্তৃপক্ষের নিয়ম লংঘন করে সড়কের অন্তত ১০/১২ টি স্পট থেকে লোকাল পরিবহনের মতো প্রত্যহ যাত্রী উঠানামা করছে। আর এ খাতে চেকার সিন্ডিকেট প্রতি গাড়ি থেকে প্রতিদিন ৫’শ টাকা করে মাসোহারা হাতিয়ে নিচ্ছে।

সূত্র আরও জানায়-চেকার পয়েন্টে একটি বাসে ১০ জন ওভার যাত্রী ধরা পড়লেও লোক দেখানো ১/২ জন যোগ করে সময় পার করছে চেকাররা। বর্তমানে চট্টগ্রাম থেকে আসার পথে কেরানী হ্টা, লোহাগাড়া,নতুন রাস্তার মাথা,চকরিয়া, মালুমঘাট, সাফারী পার্ক, খুটাখালী,ঈদগাহ থেকে হরদম যাত্রী উঠা-নামা করছে। অন্যদিকে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে ঈদগাও, খুটাখালী, নয়া রাস্তার মাথা, চুনতি, লোহাগাড়া, পদুয়া, কেরানী হাট, দোহাজারি থেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে যাত্রী নিচ্ছে এস.আলম। অভিযোগ রয়েছে চকরিয়ার ইনানী রিসোর্টে বসে চেকার সিন্ডিকেটের প্রধান এসব অনিয়ম নিয়ন্ত্রণ করে।

ভূক্তভোগী রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ির এস.আলম এর নিয়মিত যাত্রী খোরশেদ আলম জানান-এস.আলম পরিবহন দিন দিন তার স্বকীয়তা হারাচ্ছে। যে অবস্থা চলছে কবে জানি শাহ-আমিন,হানিফ পরিবহনের মতো সম্পূর্ণ লোকাল পরিবহনের তক¥া পাবে। কক্সবাজার সদর উপজেলা গেইটের বাসিন্দা ব্যাংকার ফাহাদ জানান, বেশ ক’বার এস.আলমে করে কর্মস্থল চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে চালক -সুপার ভাইজারদের অনিয়মের প্রতিবাদ করেছি,কিন্তু কোন লাভ নেই-উল্টো হেনস্থায় কপালে জুটে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এস.আলম পরিবহনের ডাইরেক্টর খোরশেদ আলমের মুঠোফোনে কল করলেও সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি।