স্পোর্টস ডেস্ক:

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ফেরিওয়ালা বলা হয়ে থাকে ক্রিস গেইলকে; কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের গেইলের চেয়ে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। আইপিএল, বিগব্যাশ, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল), বিপিএল, পিএসএল, এসপিএল সবখানেই সদর্প বিচরণ সাকিবের। বর্তমানে কলকাতার হয়ে আইপিএল খেলতে ভারতে অবস্থান করছেন সাকিব।

এদিকে আইপিএলে খেলা ও দলের মালিক শাহরুখ খানের সঙ্গে আলাপচারিতা নিয়ে ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের হয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের একটি সাক্ষাতকার নিয়েছেন ভারতের অন্যতম ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার হারশা ভোগলে। জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য সাক্ষাতকারের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো-

হারশা: বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম সুপারস্টার ধরা হয় আপনাকে। আপনিও কি এর সাথে একমত?
সাকিব: (হাসি) না আসলে ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আমি বর্তমানে ভালো খেলছি। এ ব্যাপারে আমি খুশি ও সন্তুষ্ট। ওভাবে আসলে ভাবা হয়নি কখনো।

হারশা: বাংলাদেশের অল্প যেসব ক্রিকেটারদের বাইরের দেশের লিগে চাহিদা আছে তাদের মধ্যে আপনি একজন। এই লিগগুলোকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করেন? আইপিএল এদের মধ্যে কোন অবস্থানে থাকবে?
সাকিব: অবশ্যই এখানকার পরিবেশটা অন্যরকম। এটা আসলে পৃথিবীর অন্য কোন জায়গায় পাওয়া সম্ভব না। তবে ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে অনেকটা একই, খুব বেশি পার্থক্য নেই। যদিও আমি তুলনা করতে পছন্দ করি না , তবুও যদি পার্থক্য করতে হয় তাহলে চলমান লিগগুলোর মধ্যে আইপিএলই সেরা।

হারশা: আপনি যখন দেশে ফেরত যান, তখন কি অনেক মানুষ আপনাকে আইপিএল নিয়ে জিজ্ঞেস করেন?
সাকিব: হ্যা অবশ্যই। তারা অনেক কিছু জানতে চায়। তারা আমার অভিজ্ঞতা ও অন্যান্য জিনিস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে। বিশেষ করে তারা মাঠের ক্রিকেট থেকে মাঠের বাইরের জিনিস সম্পর্কে বেশি জানতে চায়। এখন পর্যন্ত এটা আমার জন্য একটা ভালো অভিজ্ঞতা।

হারশা: আপনি কলকাতার হয়ে খেলছেন, অনেকটা ঢাকার মত পরিবেশ। এটা কি আপনার জন্য সুবিধা?
সাকিব: হ্যা আমাকে এটা বলতেই হবে। আমি সবসময়ই বলি কলকাতা আমার দ্বিতীয় বাড়ি (হাসি)। আমি এখানে প্রায় সাত বছর ধরে খেলছি। আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি এক। আসলে এর থেকে ভালো কিছু হতে পারে না। কলকাতা থেকে আমার বাড়ি বেশি দূরে নয়। আমার বাড়িতে রাস্তা দিয়ে যেতে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা লাগে।

 

হারশা: (হাসি) আপনি কি দুই খেলার মাঝে বাড়ি থেকে ঘুমিয়ে আসতে পারেন?
সাকিব: হ্যাঁ, আমি বেশ কয়েকবারই এমনটা করেছি। বিরতি দরকার হলে আমি সকালের ফ্লাইটে গিয়ে সন্ধ্যায় আবার চলে এসেছি। এটা আসলে আমার জন্য খুব মজার।

হারশা: আপনি যখন এখানে আসেন, কেকেআরের জার্সি পরে খেলেন বাংলাদেশের মানুষ কি কেকেআরকে অনুসরণ করে?
সাকিব: অবশ্যই। আমি কেকেআর এর হয়ে যদি ম্যাচগুলো খেলি আমি নিশ্চিত সকলেই ম্যাচগুলো টিভির সামনে বসে দেখে। শুধু আমি না মোস্তাফিজ এখন হায়দরাবাদের হয়ে খেলে। আমি খুব কমই হায়দরাবাদ নিয়ে আগে আলোচনা হতে দেখেছি, তবে এখন তারা হায়দরাবাদ নিয়েও বেশ আলোচনা করে। আসলে ক্রিকেটের সাথে তারা ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত আমরা যেখানেই যাই তারা লক্ষ্য রাখে এবং সে দলকে সমর্থন করে।

হারশা: শাহরুখের সঙ্গে কেকেআরের অভিজ্ঞতা?
সাকিব: এটা আসলে অসাধারণ। সে খুবই বিনয়ী, খুবই মিশুক। আমরা একত্রিত হলেই কিভাবে পরিবারের খেয়াল রাখব সে নিয়ে আলোচনা করি। এছাড়া আমি কিভাবে স্ত্রীকে খুশি রাখব এটা নিয়েও সে টিপস দিয়েছে ( হাসি)। আমার এগুলো বেশ কাজেও লেগেছে। আসলে এটাই তাকে মহান করেছে। তার বিনয়, তার কথা বলার ধরণ এগুলো একদম অসাধারণ।