ডেস্ক নিউজ:
৩৫তম বিসিএস উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে ৩৯৮ জনকে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডারের বিভিন্ন পদে নিয়োগের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এর মধ্য দিয়ে এসব প্রার্থীদের আট মাসের অপেক্ষার অবসান হলো। সোমবার (১৭ এপ্রিল) এ সুপারিশ করা হয়।
২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট প্রকাশিত হয় ৩৫তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল। এতে উত্তীর্ণ হন পাঁচ হাজার ৫৩৩ জন। এর মধ্যে ২ হাজার ১৫৮ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। তবে পদ কম থাকার কারণে তিন হাজার ৩৫৯ জনকে রাখা হয় নন-ক্যাডারের জন্য। গত বছরের নভেম্বরে এই নন-ক্যাডার নিয়োগের জন্য প্রথমবারের মতো আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয় অনলাইনে। এতে আবেদন করেন দুই হাজার ৬২৬ জন।
উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমাজসেবা কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পেয়েছেন ২০০ জন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের সহকারী প্রকৌশলী ও উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে ৪৮ জন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সহকারী পরিচালক হিসেবে ২০ জন এবং শ্রম ও কলকারখানা অধিদফতরে সহকারী মহাপরিদর্শক (সাধারণ) পদে নিয়োগ পেয়েছেন ১৩ জন। এছাড়া অর্থ, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান, বাণিজ্য, শিল্প, প্রতিরক্ষা, মহিলা ও শিশু, বন ও পরিবেশসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ৪৩টি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেয়েছেন ১১৭ জন।
কমিশন সূত্রে সূত্রে জানা গেছে, ৩৫তম বিসিএসের নন-ক্যাডার নিয়োগের জন্য গত বছরের ৩০ আগস্ট সব মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় কমিশন। এছাড়া বেশিসংখ্যক প্রার্থী যেন নিয়োগ পায় সেজন্য কোটার প্রার্থী না পাওয়া গেলে মেধাবীদের নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব আসে। কমিশনের এই প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পরে মন্ত্রিপরিষদে পাঠায়। এরপর কোটা শিথিলের সুপারিশ করা হয়।