রামু প্রতিনিধি:

রামুতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এক বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়েছে। ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের মেরংলোয়া (গ্রামীণ ব্যংকের সামনে) গ্রামের মৃত অবিনাশ শর্মার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।১২ এপ্রিল দিবাগত রাত ১টার পরে অগ্নিকান্ডের এই ঘটনা ঘটে।
আগুনের লেলিহান শিখা দেখে বাড়ির লোকজন চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। কিন্তু তৎক্ষনে বাড়ির কিছুই রক্ষা করা যায়নি বলে জানা গেছে।

অগ্নিকান্ডের এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। সর্বশান্ত লাকি শর্মা জানান, একটি সংসারে যা যা থাকা দরকার তিলে তিলে তার সবটুকু যুগিয়েছি। টিভি, ফ্রিজ, সোফা সেট, আলমারি, দামি খাট, শোকেস, সিন্ধুক, বিদেশী কম্বল, আসবাবপত্র, ফ্যান, গ্যাস সিলিন্ডার, ব্লান্ডার মেশিন, রাইচ কুকার, অফিসিয়াল ফাইলপত্র, ছেলেমেয়েদের সার্টিফিকেট, স্মার্ট ফোন, ট্রলি ব্যাগ, গ্যাসের চুলা, চার্জলাইট, নগদ ১লাখ টাকা এবং ২ ভরি স্বর্ণালংকারসহ সবকিছু পুড়ে গেছে। এক কাপড়ে কোন মতে প্রাণে বেচেঁ গেছি।
লাকি শর্মা আরো জানান, গত বছর কালিপূজার সময় বাড়িতে কেউ না থাকাকালীন সময়ে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। তখনও একটি সংসারের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।গত বছর আমার নিজের বাড়িটা এভাবে আগুনে পোড়ে যাওয়ার পর থেকে আমি আমার দুই সন্তান এবং স্বামীকে নিয়েবাবার বাড়িতে এসে আশ্রয় নিয়েছি। এখন বাবার বাড়িটাও পুড়ে গেল। এখন আমি কোথায় যাব?

লাকি শর্মার এক ছেলে এবং এক মেয়ে। টুম্পা শর্মা এবং জয়শীল। টুম্পা চট্রগ্রাম সাদার্ন ইউনিভার্সিটির ফার্মাসি ডিপার্টমেন্টের চতুর্থ সেমিষ্টারের ছাত্রী। জয় চট্রগ্রাম পোর্টসিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির

ইলেকট্রনিক্সএন্ড ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার ডিপার্টমেন্টের প্রথম বর্ষের ছাত্র। লাকি শর্মার স্বামী সুনীল শীল রামু হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন।

লাকি শর্মার মেয়ে টুম্পা শর্মা জানান, বাড়ির দোতলার ছাউনিতে আগুন জ্বলতে দেখে সে চিৎকার শুরু করে। এতে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। সবাই দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন এবং প্রাণে রক্ষা পান।

এদিকে আগুনে পুড়ে নিঃস্ব হওয়া পরিবারটি বাড়িতে আগুন লাগার এই ঘটনাকে কারো পরিকল্পিত শত্রুতার আগুন কিংবা স্বেচ্ছাচারিতার আগুন হতে পারে বলে দাবি করেছেন।

এই বিষয়ে রামু থানার অফিসার্স ইনচার্জ প্রভাস চন্দ্র ধর জানান, ওই রাতে বাড়িতে আগুন লাগার খবর শুনে দ্রুত পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছি। ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক তালিকাও করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা দেখছি।