বার্তা পরিবেশক :
চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালীতে নির্মিত এন.আর.সি ফিলিং ষ্টেশন নামের পেট্টোল পাম্পে ভেজাল তেল বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগে জানা যায়, গত ১৩ এপ্রিল তারিখ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ভেজাল অকটেন বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন মালিক পক্ষ। কিন্তু অতিরিক্ত দুর্নীতি করতে গিয়ে ধরা পড়ে যায় ক্রেতা সাধারণের কাছে। এনিয়ে মোটর সাইকেল মালিকরা ভেজাল তেলের অভিযোগ নিয়ে ফাঁসিখালীর এন.আর.সি পাম্পে গেলে তারা অনেকের টাকা ফিরিয়ে দেন আবার অনেককে তেল পরিবর্তন করে দেয়। তেলের টাকা ফিরিয়ে পেলেও যানবাহন মালিকেরা এ অপকর্ম নিয়ে অসন্তুষ প্রকাশ করেন। ভেজাল তেলের প্রভাবে অনেক মোটরসাইকেল ইঞ্জিনের অত্যন্ত ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা। এদিকে এন.আর.সি ফিলিং স্টেশনে ভেজাল তেল বিক্রির কথা চতুর্দিক ছড়িয়ে পড়লে ওই পাম্প থেকে ভবিষ্যতে তেল ক্রয়ে অনীহা প্রকাশ করেন যানবাহন মালিকরা।

সায়েম নামের মোটর সাইকেল চালক জানান, আমি প্রায় সময় ওই পেট্টোল পাম্প থেকে তেল নিই। ইতিপূর্বে তেল নিয়ে দুর্নীতি করে থাকলেও এতে আমাদের বুঝার কোন অবকাশ নাই। কিন্তু এবার ওই পাম্প থেকে তেল নিয়ে আমার বাইকটি সম্পুর্ণ অচল অবস্থা হয়ে যায়। পরে মেকানিকের কাছে গিয়ে কার্বোরেটর খুলে দেখি ভিন্ন রঙের ভেজাল তেল অনায়াসে বেরিয়ে পড়ছে। আমি তাৎক্ষণিক পাম্প ম্যানেজারকে অবগত করলে আমাকে ওখানে গিয়ে তেল পাল্টে আনতে বলে। এবং তেল পাল্টাব দুরের কথা ওই পাম্প থেকে কখনো তেল না নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করছি। উল্লেখিত সময়ে পাম্পটির তেলের দরুন ক্ষতিগ্রস্ত মোটরসাইকেল মেরামত করেন চকরিয়া সহ আশেপাশের মেকানিকের দোকানগুলো। এব্যাপারে জানতে চাইলে উল্লেখিত সময়ের তেল নিয়ে দূর্ঘটনার কথা স্বীকার করেন এন.আর.সি ফিলিং ষ্টেশনের শেয়ার হুল্ডার ও ম্যানেজার বেলাল উদ্দিন। হয়তবা শত্রুতা বশত তেলের গাড়ি চালক বা অন্য কেউ এটি করেছে বলে জানান তিনি। তবে ঘটনার অস্বীকার করেন ফিলিং ষ্টেশনের প্রধান মালিক রামু উপজেলার কলঘর এলাকার অধিবাসী ও স্থানীয় এন.আলম ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারী মোঃ নুরুল আলম। তিনি বলেন এরূপ ঘটনা হতে পারে স্বাভাবিক এতে আমরা গ্রাহকের সাথে সমন্বয় করে নিয়েছি।