এস.আজাদ, উখিয়া:

উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তের রুট বদল করছে ইয়াবা পাচারকারী সিন্ডিকেট। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিভিন্ন ইউনিট সড়কপথে তৎপর থাকায় ইয়াবা পাচারকারী সিন্ডিকেট রুট পরিবর্তন করেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা দিয়ে এবং সাগরপথে এখন পাচার করা হচ্ছে ইয়াবার বড় বড় চালান। যার প্রেক্ষিতে রোববার ভোরে র‌্যাব-৭এর দল বঙ্গোপসাগরে অদুরে ট্রলারে অভিযান চালিয়ে ২০লাখ পিস ইয়াবাসহ পাচারকারী চক্রের নেতা মোজাহের সহ ৯ জনকে আটক করেছে। ১৬ এপ্রিল রবিবার ভোরে আনোয়ারা-গহীরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি (মিডিয়া) আমির উল্লাহ জানান, বঙ্গোপসাগর দিয়ে ইয়াবার বিশাল একটি চালান পাচার হচ্ছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ২০ লাখ পিস ইয়াবা জব্ধ করা হয়। ৯জন আটক করা হলেও মূল হোতারা ধরাছোয়ার বাইরে। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে উখিয়া-টেকনাফ এর পাচারকারী চক্র সম্প্রতি ট্রলার যোগে সমুদ্র পথে ইয়াবা পাচার করে যাচ্ছিল । সিন্ডিকেট গুলো সমুদ্র পথকে নিরাপদ ভেবে টেকনাফ থেকে চট্রগ্রাম ভিত্তিক তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল।

প্রকৃত মালিক ও হোতা টেকনাফের লেদা এলাকার হেলাল উদ্দিন থেকে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,বঙ্গোপসাগরে অদুরে ট্রলার থেকে উদ্ধার হওয়া ইয়াবাগুলো টেকনাফের লেদা এলাকার মৃত জালাল সওদাগরের ছেলে চিন্থিত ইয়াবা গডফাদার হেলাল উদ্দিনের। ২ বছর পূর্বে হেলাল উদ্দিন ঢাকায় র‍্যাবের হাতে ৪০ হাজার ইয়াবা, ১৪ লক্ষ নগদ টাকা, ১৩ টি মোবাইল নিয়ে র‍্যাবের হাতে আটক হয়েছিল। কিন্ত পরবর্তিতে জামিনে বেরিয়ে এসে আবারো ফিরে যায় তার পুরোনো পেশায় । এ জন্য সে চট্রগ্রামে বসে টেকনাফের তার সেকেন্ড ইন কমান্ড হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াবাজারের লম্বা হেলালের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগর দিয়ে তার ব্যবসা চালিয়ে আসছিল।

ইতিমধ্যে সে ইয়াবা ব্যবসার মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছে। তার সম্পদের মধ্যে রয়েছে চট্রগ্রামের মইজ্জার টেক এলাকায় ৫ তলা প্লাট,বহদ্দার হাট এলাকায় ৪ তলা প্লাট,চট্রগ্রাম ১ কিলোমিটার এলাকায় ৩ তলা প্লাট, হোয়াংক্যং ও হৃীলা ইউনিয়নে নামে বেনামে ২,শ কানি সম্পত্তি,কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে ৪ টি স্পেশাল বাস, ৩ টি ট্রাক সহ বেশ কয়েকটি প্রাইভেট গাড়ী। অল্প সময়ে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক বনে গেলেও একবারও তার আয়ের উৎস খতিয়ে দেখেনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

উখিয়া-টেকনাফ থানার সহকারী পুলিশ সুপার চাইলাউ মার্মা বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পুলিশ ইয়াবা পাচার প্রতিরোধে জিরো টলারেন্সে কাজ করছে। তবে সাগরপথে ইয়াবা পাচার হয়ে থাকলে সেটি দেখবে কোস্টগার্ড।