এস.আজাদ, উখিয়া:
আইনশৃংখলা বাহিনী ইয়াবা ও মাদক দ্রব্য উদ্ধার করলেও ইয়াবা গডফাদারদের গ্রেফতার করছেনা। যার ফলে ইয়াবা ও মাদক ব্যবসা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ মরণব্যধি ব্যবসা বন্ধ করতে হলে ইয়াবা, মাদক ব্যবসায়ীকে পাওয়া মাত্র গুলি করতে হবে। কারণ এই ইয়াবা মাদক এদেশের যুব সমাজ থেকে শুরু করে সব শ্রেণীর পেশার মানুষকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে ধাবিত হচ্ছে। যারা ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায় জড়িত তাঁরা দেশ ও জাতির শত্রু।
রবিবার বিকেল ৩টায় উখিয়ায় ষ্টেশনে অনুষ্ঠিত বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তারা উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।
বক্তারা বলেন, এ দেশ আজ উন্নত বিশ্বের সাথে পাল্লা দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে পরিনত হয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে স্বনির্ভর দেশ হিসেবে বিশে^র দরবারে পরিচয় করিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে এদেশের শিক্ষিত/অশিক্ষিত সেই যুব শক্তি মাদক সাথে মিশে গেছে। কেউ মাদক ব্যবসায় আবার কেউ মাদক সেবনে জড়িত। এছাড়াও একটি মহল দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের দরবারে চিহ্নিত করতে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করেছে। যদিওবা সরকারী আইনশৃংখলা বাহিনীর কঠোর হস্তে এসব জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসীদের দমন অভিযান অব্যাহত রেখেছে। বিশেষ করে উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে যে সমস্ত মাদক দ্রব্য এদেশে ঢুকে পড়ছে। এ ইয়াবা ও মাদক এবং জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসনকে আরো কঠোর হতে হবে। আমরা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত শুধুমাত্র উন্নয়নের জন্য নয়, এদেরকে মাদক, ইয়াবা ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখতে হবে। কিন্তু আজকে আমাদের জনপ্রতিনিধিরা এই ইয়াবা,মাদক ও জঙ্গীবাদের সম্পৃক্ত। যত বড় ক্ষমতাধর ব্যক্তি হউক না কেন এদেরকে গ্রেফতার পূর্বক আইনের কাছে সোপর্দ করার দাবী করেন বক্তারা।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও মাদক, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক শাহ আলম চৌধুরী প্রকাশ রাজা শাহ আলম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সাংসদ ও টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, ভারপ্রাপ্ত উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ছেনুয়ারা বেগম, উক্ত প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক, সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কবি আদিল উদ্দিন চৌধুরী, টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর, কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি সুলতান মাহামুদ চৌধুরী, জালিয়াপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রাশেল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছৈয়দ মোহাম্মদ নোমান, সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মিথুন, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা যথাক্রমে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, রশিদ আহমদ, আবুল কাশেম বাবুল, মাষ্টার শামসুল আলম ভুলু, মাষ্টার হামিদুল হক, মুক্তিযোদ্ধা আবু, মোঃ কালু, রাজা মিয়া মেম্বার, আবুল ফজল, রাজাপালং ইউনিয়ন সভাপতি মোছলেহ উদ্দিন, উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছৈয়দ হোছন, রাজাপালং ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি নুর মোহাম্মদ শেখর, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন আবু, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান সাজু, মাসুদ আমিন শাকিল, মোহাম্মদ শাহজাহান, উপজেলা যুবলীগ নেতা ছব্বির আহমদ বাবুল, ইউনিয়ন কৃষকলীগ নেতা পারভেজ, বেলাল উদ্দিন, সহ সর্বস্তরের সুশীল সমাজের লোকজন।