অনলাইন ডেস্ক:

আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের ডেরা ধ্বংস করতে গত বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বড় অপারমাণবিক বোমা হামলা চালায় আমেরিকা। জিবিইউ-৪৩ ম্যাসিভ অর্ডিন্যান্স এয়ার ব্লাস্ট (মোআব), যা মার্কিন সেনাদের কাছে ‘মাদার অব অল বম্বস’ নামে পরিচিত। এর ওজন প্রায় ১০,৩০০ কেজি। ইরাকে হামলা চালানোর জন্য ২০০৩ সালে জিপিএস পরিচালিত এই বোমা তৈরি করেছিল আমেরিকা। কিন্তু ব্যবহার করেনি। এই প্রথম কোথাও এত শক্তিশালী অপারমাণবিক বোমা ফেলল আমেরিকা। তবে এর থেকেও বেশি ওজনের বোমা আছে রাশিয়ার হাতে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমেরিকা ও রাশিয়ার অপারমাণবিক বোমার সঙ্গে কিন্তু ভারত, চীন ও পাকিস্তানের বোমার কোনও তুলনাই চলে না। এত ধ্বংসাত্মক অপারমাণবিক বোমা এই তিন দেশের কারও কাছেই নেই। তবে যে সব নন-নিউক্লিয়ার বোমা ভারত, চীন ও পাকিস্তানের কাছে আছে, সেগুলো একদম হেলাফেলা করার মতোও নয়।

ভারতের অস্ত্রাগারে যে নন-নিউক্লিয়ার বোমা রয়েছে সেটির নাম ‘স্পাইস’। পুরো নাম ‘স্মার্ট প্রিসাইজ ইমপ্যাক্ট অ্যান্ড কস্ট এফেক্টিভ’। ভারতীয় বিমানবাহিনীর হাতে রয়েছে এই বোমা। বোমার ওজন ৯০০ কেজির সামান্য বেশি। জিপিএস পরিচালিত এই বোমা তৈরি করে দিয়েছে ইসরাইল।

ভারতীয় বিমানবাহিনীর জাগুয়ার ৪৫০ কেজি ওজনের বোমা বহন করতে পারে। সুখোই এমকে ৩১ প্রায় ২৫০ কেজি ওজনের ৬টি বোমা বহন করার ক্ষমতা রাখে। ৯০০ কেজির ‘স্পাইস’ বোমা বহনক্ষম যুদ্ধবিমানগুলি হল, এফ-১৫, এফ-১৬, মিরাজ-২০০০, টর্নেডো, এফএ-৫০। স্পাইস-এর অনেকগুলো ধরন রয়েছে—স্পাইস ১০০০, ২০০০ এবং ২৫০। ভারতের হাতে রয়েছে স্পাইস ১০০০।

অন্য দিকে, চীনের অস্ত্রাগারেও রয়েছে ২২৫ থেকে ১,৩৫০ কেজির নানা রকমের বোমা। বেশির ভাগই মনে করা হয় রাশিয়ার বোমার আদলে তৈরি। কিছু আবার আমেরিকার এমকে ৮০,৮২,৮৩,৮৪ সিরিজের মতো বোমাও রয়েছে চীনের হাতে।

পাকিস্তানের হাতে রয়েছে ১০০-৯০০ কেজির নানা জাতের বোমা। বেশ কিছু আবার আমেরিকার এমকে ৮০ সিরিজের ধাঁচে তৈরি।

দক্ষিণ কোরিয়া ও ইসরাইলের বিমানবাহিনীর হাতে রয়েছে ২,২৫০ জিবিইউ-২৮, পেভওয়ে থ্রি গোত্রের বোমা। ফ্রান্সের হাতে রয়েছে আমেরিকার পেভওয়ে টু গোত্রের জিবিইউ-২৪ বোমা। ৯০০ কেজির এই বোমা লেসার-গাইডেড।

তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে ভারত, পাকিস্তান, চীন বা ফ্রান্সের হাতে যে অপারমাণবিক বোমা রয়েছে, সেগুলো মোটামুটি একই রকমের। তবে আমেরিকা বা রাশিয়ার তুলনায় এগুলো অনেকটাই পিছিয়ে। সূত্র: আনন্দবাজার।