প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

‘জঙ্গি-নির্মূল চেতনায় শাণিত বৈশাখ’ এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে ধারণ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে দিনব্যাপি কর্মসূচির মাধ্যমে বর্ণিল আয়োজনে সংশ্লিষ্ট সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পহেলা বৈশাখ ১৪২৪ বঙ্গাব্দ উদযাপন করা হয়। সকাল ৯.০০ টায় বিশ্ববিদ্যালয় ১নং গেইট গোল চত্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী ও মাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রা শেষে জারুল তলায় মূল মঞ্চে মাননীয় উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাননীয় উপ-উপাচার্য, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ.এফ.এম. আওরঙ্গজেব, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল হুদা এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন চ.বি. প্রক্টর ও অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব জনাব মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তথ্য) জনাব মো. ফরহাদ হোসেন খান।

উপাচার্য তাঁর ভাষণে সকলকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। তিনি তাঁর ভাষণের শুরুতে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-শিল্পীদের শিল্পকর্ম দুর্বৃত্ত কর্তৃক কালি লেপন করার তীব্র নিন্দা জানান এবং এসব অন্ধকারের শক্তিকে অনতিবিলম্বে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানান।  উপাচার্য বাংলা নববর্ষের সূচনা, গুরুত্ব, তাৎপর্য ও বিশিষ্টতা আলোকপাত করে বলেন, বাঙালির ঐতিহ্য-সংস্কৃতির প্রকৃত আয়না পহেলা বৈশাখের সম্মিলিত জাগরণ। এ জাগরণ আমাদের করবে নতুন চেতনায় শাণিত-উজ্জীবিত। তিনি বলেন, ক্ষুদ্রকে, অকল্যাণকে, হীনতাকে, অন্ধকারকে পেছনে ফেলে দ্বিধাহীনচিত্তে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে জঙ্গি-সন্ত্রাস নিধন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার রূপকল্পসমূহ যথার্থ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিবেদিতপ্রাণে দেশের জন্য কাজ করাই হউক আমাদের সকলের অঙ্গীকার।

উপ-উপাচার্য তাঁর ভাষণে সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বাংলা নববর্ষ চিরকাল সামনে যাবার আহবান। এই উজ্জ্বল শোভাযাত্রার দিনে ইতিহাস-ঐতিহ্য থেকে রূপ-রস-বর্ণের প্রেরণা নিয়ে আমরা এক বৃহৎ ক্যানভাসে আঁকবো সম্মিলিত উদযাপনের ছবি। তিনি সকলকে সুন্দরকে গ্রহণ এবং অসুন্দরকে বর্জন করে সামনে এগিয়ে চলার জন্য আহবান জানান।

দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে ছিল-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক, আদিবাসীদের পরিবেশনা, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবেশনা, মহিলা সংসদ ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা এবং চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী বলিখেলা, পুতুল নাচ, বউচি খেলা, লাঠি খেলা, বৈশাখি মেলা এবং সবশেষে সংগীত পরিবেশন করেন আমন্ত্রিত দেশবরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী ফকির শাহাবউদ্দিন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদসমূহের ডিন, হলসমূহের প্রভোস্ট, বিভাগীয় সভাপতি ও ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষক সমিতি-অফিসার সমিতি-কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, অফিস প্রধানবৃন্দ, চ.বি. মহিলা সংসদের সভানেত্রী ও অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, ক্যাম্পাসস্থ স্কুলসমূহের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।