বিশেষ প্রতিবেদক:
কুতুবজোম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি, বটতলাবাজার বণিক সমিতির সভাপতি, বিশিষ্ট প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মো. সুলতানকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১২ এপ্রিল রাতে তাকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৩ এপ্রিল তাঁকে কারাগারে প্রেরণ করেছে। প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা, শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সেবকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও গ্রেপ্তার করায় এলাকায় নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। সর্বস্তরের মানুষ এই প্রবীণ মানুষকে গ্রেপ্তার করায় নিন্দা জানাচ্ছে।
মো. সুলতানকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করায় নিন্দা জানিয়েছে কুতুবজোম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি সদস্য, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকেরা। তারা এক বিবৃতি বলেন, মো. সুলতান একজন সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী মানুষ। তিনি জীবনের বেশিরভাগ সময় মানুষের সেবায় কাটিয়ে দিয়েছেন। এই প্রবীণ বয়সেও তিনি নিরলসভাবে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তাই আমরা এই মানুষটির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তার নি:শর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মো. সুলতান বর্তমানে কুতুবজোম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। গত কাউন্সিলের তিনি অল্প ভোটের ব্যবধানে সভাপতির পদ থেকে হেরেছেন। গত বিএনপি জোট সরকারের আমলে কুতুবজোমের আওয়ামী লীগ রাজনীতি শক্ত হাতে ধরে রেখেছিলেন সুলতান। এই কারণে তিনি মামলা-হামলারও শিকার হয়েছিলেন। কিন্তু আজকে দলের সুসময়ে এই প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতাকে মিথ্যা মামলায় জেলে যেতে হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১১ এপ্রিল কুতুবজোমের বটতলার পশ্বিমে মো. সুলতানের ঘেরে হামলা করে স্থানীয় আনসার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় সুলতানের ঘেরের তিনজন শ্রমিক আহত হয়। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনাকে নিয়ে উল্টো মো. সুলতান ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে একটি সাজানো মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
উল্লেখ্য, উপরোল্লেখিত দায়িত্ব ছাড়াও মো. সুলতান চরপাড়া শাহী জামে মসজিদের সভাপতি, খায়েরিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসার সভাপতি ও বটতলা জামে মসজিদের দায়িত্ব পালন করছেন।