বিশেষ প্রতিবেদক:

মহেশখালী-কুতুবদিয়া সংসদীয় আসনের প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়নে বিভিন্ন দলীয় সভা সমাবেশ, সামাজিক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে ইতি মধ্যে বেশ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর ধলঘাটার কৃতি সন্তান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি জনাব ওসমান গণি ওসমান। প্রতি সপ্তাহে মহেশখালী- কুতুবদিয়ায় কোন না কোন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে জানান দিচ্ছেন নিজের সরব উপস্থিতি। মহেশখালীর অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ ইউনিয়ন ধলঘাটার উত্তর মুহুরীঘোনা গ্রামে জন্ম গ্রহণকারী সদালাপী, বিনয়ী সাবেক ছাত্র নেতা ওসমান গণি ছাত্র জীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক ছিলেন। স্থানীয় ভাবে পড়া লেখা-পড়া শেষ করে উচ্চ শিক্ষার জন্য চলে যান প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত দেশের সর্ব্বো” বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পা দিয়ে রাজনীতিতে আরো বেশী সক্রিয় হয়ে পড়েন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, মধুর ক্যান্টিনে হয়ে উঠে সরব যাতায়াত। রক্তের ¯্রােতধারায় মিশে যান স্বাধীকার আন্দোলনের ঐত্যিহবাহী প্রাচীন সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন সভা সেমিনারে তারই ফলশ্রুতিতে অর্পিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হল ছাত্রলীগের গ্রন্থণা ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব। এর পর পেছনে ফিরে থাকাতে হয়নি তাকে।
নির্বাচিত হন ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের প্রভাবশালী সদস্য, পরের কমিটিতে আরো একধাপ এগিয়ে নির্বাচিত হন ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি। অনুসন্ধানে জানা যায় জামাত বিএনপি জোট সরকারের আমলে ঢাকার রাজপথের এক লড়াকু ছাত্র নেতা হিসাবে মিছিলের অগ্রভাগে নেতৃত্ব দিতেন তিনি। সে সময় সুধাসদনে জেলার অনেক প্রবীণ নেতাকে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধান মন্ত্রীর সাক্ষাৎ পাইয়ে দিয়েছেন। ঢাকা থেকে ব্যবসায়ীক ও রাজনৈতিক ভাবে চলে আসেন নিজ জেলায় কক্সবাজারে। সক্রিয় হন জেলার রাজনীতিতে। বিগত ২০০৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরব হন মহেশখালী-কুতুবদিয়ার রাজনীতিতে। ১টি পৌরসভা ও ৮ টি ইউনিয়ন নিয়ে মহেশখালীর ভৌগোলিক অবস্থান। মহেশখালী আওয়ামী রাজনীতির পরিসংখ্যান ঘেটে দেখা যায়, মহেশখালীর অবহেলিত জনসংখ্যা অধ্যুষিত উত্তর মহেশখালী তথা ধলঘাটা, মাতারবাড়ী, হোয়ানক, শাপলাপুর, কালারমারছড়া নিয়ে মোট ভোটার প্রায় এক লক্ষ বিশ হাজার যা মহেশখালী মোট ভোটারের দুই-তৃতীয়াংশ। যুগে যুগে মহেশখালী আওয়ামীলীগের ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত রয়েছে এই অবহেলিত ইউনিয়নগুলোর। প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীরা উল্লেখ যোগ্য সংখ্যক ভোট পেয়ে থাকেন এতদঞ্চলে। এতদঞ্চলের আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের প্রচ্ছন্ন অভিযোগ রয়েছে ১৯৯১ সালের পর উক্ত অবহেলিত এলাকায় উপজেলায় আওয়ামীলীগের প্রাপ্ত ভোটের বড় অংশ থাকার পরও মনোনয়ন বঞ্চিত হয় উত্তর মহেশখালীবাসি। সম্প্রতি সাবেক ছাত্র নেতা ওসমানগণির এলাকায় সরব উপস্থিতিতে আশার আলো জেগেছে আওয়ামীলীগের তৃণমূল কর্মীদের মাঝে। কর্মীবান্ধব এ নেতা’কে যেখানেই পাচ্ছেন কর্মীরা শুনাচ্ছেন তাদের হৃদয়ের রক্তকননের কথা।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুল ইসলাম আমিনের সাথে।

এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ধলঘাটার আরেক কৃতি সন্তান সদ্য সমাপ্ত জেলা পরিষদ নির্বাচনের সদস্য প্রার্থী সাবেক ছাত্র নেতা কামাল উদ্দীন জানান ঢাকার রাজপথ কাপানো নেতা আমাদের ওসমান ধলঘাটার ছেলে হিসেবে আমরা গর্বিত। তাকে জাতীয় সংসদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন দিলে অতীতের ধারাবাহিকতায় আমরা ধলঘাটা মাতারবাড়ীবাসি ঐক্যবদ্ধ ভাবে ঝাপিয়ে পড়বো। মাতারবাড়ীতেও উনাকে নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যপক উৎসাহ উদ্দীপনা। মাতারবাড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ফজলুল কাদের মেম্বার জানান ওসমান সাহেব ধলঘাটা মাতারবাড়ীর সন্তান, উনাকে দল মূল্যায়ন করলে ধলঘাটা মাতারবাড়ীর সর্বস্থরের জনগণ নৌকার মিছিলে সামিল হবে। হোয়ানকেও সম্প্রতি চষে বেড়িয়েছেন তিনি। হোয়ানক আওয়ামীলীগের মূলভিত্তি সাবেক সাংসদ মোঃ ইছহাক বি.এ এর পরিবারের সাথে রয়েছে উনার আত্মার সম্পর্ক। বাংলাদেশ কৃষকলীগ মহেশখালী উপজেলা শাখার সভাপতি সাবেক সাংসদের বড় ছেলে অধ্যাপক সরওয়ার কামালও উনার বিষয়ে আন্তরিক। এই প্রসঙ্গে কথা বললে হোয়ানক ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম সোনা মিয়া জানান, আমাদের উত্তর মহেশখালীর অভিভাবক ওসমান চেয়ারম্যান’কে হারিয়ে আমরা নতুন অভিভাবক ওসমান চেয়ারম্যানের সু-যোগ্য জামাতা জনাব ওসমান গণিকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। হোয়ানকের প্রায় ১৪,০০০ হাজার ভোটার ধলঘাটার সাবেক বাসিন্ধা, সে হিসাবে হোয়ানকেও ব্যপক আঞ্চলিকতার প্রভাব পড়বে। কক্সবাজার জেলার ৭১ এর মুক্তি যোদ্ধে কক্সবাজার জেলার প্রথম শহীদ বৃহত্তর কালারমারছড়ার সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শরীফের পরিবারের সাথে রয়েছে তার আত্মীয়তার সম্পর্ক। শহীদ পরিবারের ছোট ছেলে শহীদ ওসমান চেয়ারম্যানের একমাত্র মেয়ের জামাতা তিনি। শহীদ পরিবারের বড় ছেলে সে সুবাদে উত্তরাঞ্চলের মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা তিন তিন বারের সাবেক সফল চেয়ারম্যান ও বর্তমান মহেশখালীর উপজেলার চেয়ারম্যান সম্পর্কে উনার জেঠা শ্বশুর। সে হিসাবে কালারমারছড়া তথা ধলঘাটা, মাতারবাড়ী, শাপলাপুর, হোয়ানক এর আওয়ামী পরিবারের বিশাল অংশ তার পক্ষে অবস্থানে রয়েছে বলে স্থানীয় ভাবে পর্যবেক্ষনে জানা যায়। এই প্রসঙ্গে কালারমারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জনাব, মাস্টার বশির আহমদ ও জহিরুল আলম বদন জনান কালারমারছড়ার সর্বস্থরের জনগণ ওসমান সাহেবের পিছনে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, আছি, থাকব। কোন অপশক্তি ইনশাল্লাহ আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবেনা। শাপলাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা মাস্টার ইদ্রিস আহমদ জানান এমনিতে শাপলাপুর কালারমারছড়ার অংশ ছিল দীর্ঘদিন ধরে। উত্তর মহেশখালীর নতুন অভিভাবক সাবেক ছাত্রনেতা ওসমান গণি ওসমান কে আগামী জাতীয় সংসদে নৌকা প্রতীক দেওয়া হলে শাপলাপুরবাসী ঐক্যবদ্ধ ভাবে উত্তর মহেশখালী বাস্থবায়নে একতাবদ্ধ হবে তাছাড়া তাকে প্রার্থী করলে ধলঘাটার বিশাল একটা ভোট ব্যাংক বর্তমানে শাপলাপুরে স্থায়ী ভাবে বসবাস করে, সে ক্ষেত্রেও শাপলাপুরে ব্যাপক প্রভাব পড়বে।

সাবেক ছাত্র নেতা ওসমান গণি সম্পর্কে জানতে ছোট মহেশখালীর প্রভাবশালী আওয়ামী পরিবারের সন্তান বঙ্গবন্ধু জাতীয় সাহিত্য পরিষদের সভাপতি জনাব সাহাদত উল্লাহ খানের সাথে কথা বললে জানান ওসমান অনেক পরিক্ষিত এবং আদর্শীক নেতা হিসাবে মহেশখালী সর্বস্থরের মানুষের কাছে পরিচিত। এই কঠিন সময়ে উনার মত ত্যাগি, সৎ, চেতনা সম্পন্ন মানুষকে আগামীতে দলের মনোনয়ন দিলে সর্বস্থরের নেতাকর্মী এক কাতারে এসে কাজ করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস এবং ইনশাল্লাহ নৌকা প্রতীকের জয় হবে। বড় মহেশখালীর চেয়ারম্যান বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ শরীফ বাদশার বিশাল একটা ভোট ব্যাংক রয়েছে উনার অনুকূলে। পৌর এলাকার প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক পৌর মেয়র সরওয়ার আজম বি,এ ও উপজেলা যুবলীগের সংগ্রামী সভাপতি মোঃ শাহাজাহান এর প্রকাশ্য সমর্থন রয়েছে তার প্রতি। আরও জানা যায় মহেশখালীর সংখ্যালঘু সম্প্রাদায়ের কাছে রয়েছে উনার বিশেষ গুরুত্ব। মহেশখালী আদিনাথ মন্দির সংস্কার কমিটির সভাপতি ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র বাবু পূর্ণ চন্দ্র দে যার নিয়ন্ত্রনে রয়েছে মহেশখালীর সিংহভাগ সংখ্যালঘু সম্প্রাদায়ের ভোট ব্যাংক। উনি প্রকাশ্যে উনার জন্য মাঠে ময়দানে কাজ করে যাচ্ছেন।
সব চাইতে পিলে চমকানো তথ্য হচ্ছে , ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যিনি মহেশখালী কুতুবদিয়ায় নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন তৃণমূল আওয়ামীলীগের জন প্রিয় ব্যক্তিত্ব বিশিষ্ট পরিবেশ বিজ্ঞানী আলহাজ্ব প্রফেসর ডঃ আনছারুল করিম ও একট্টা রয়েছে তার সাথে। সর্বোপরি স্থানীয় তৃণমূল আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ উনাকে নিয়ে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে সাবেক ছাত্র নেতা ওসমানগণিকে নিয়ে নির্বাচনি বৈতরণী পার করার স্বপ্নে বিভোর।
সংসদীয় আসনের আরেক উপজেলা কুতুবদিয়ায়ও উনাকে নিয়ে রয়েছে ব্যাপক আলোচনা। প্রতি সপ্তাহে যোগ দিচ্ছেন কুতুবদিয়ার তৃণমূল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।

উনার পদাচরনা নিয়ে জানতে চাইলে কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের এক শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আমি উনার কুতুবদিয়ার বিভিন্ন সভা সেমিনারের খবরা খবর রাখি, তৃণমূল আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে কথা বলে জানতে পারি, উনার সাথে অনেক আগে থেকেই আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। দলীয় সভানেত্রী উনাকে মনোনয়ন দিলে কুতুবদিয়ায় অন্যান্য নির্বাচনের চাইতে ভাল ফলাফল বয়ে আনবে বলে আমার বদ্ধমূল ধারণা।

প্রাপ্ত সূত্রে জানা যায়, কুতুবদিয়া একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। ধলঘাটা-মাতারবাড়ীও বিচ্ছিন্ন উপ দ্বীপ। যুগ যুগ ধরে ধলঘাটা-মাতারবাড়ীর সাথে কুতুবদিয়ার সাগর পথে যোগাযোগ রয়েছে। সে সুবাদে ধলঘাটা মাতারবাড়ীর মানুষের সাথে কুতুবদিয়ার মানুষের অনেকটা আঞ্চলিকতা, হৃদয়ের টান, অনেক আত্মীয়তার বন্ধনের কারণে ধলঘাটা-মাতারবাড়ীকে কুতুবদিয়ার জনগণ প্রতিবেশী বলে মনে করেন। এই প্রসঙ্গে কথা বললে কুতুবদিয়া উপজেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি নুরুল ইসলাম জানান আমরা কুতুদিয়ার অবহেলিত তৃণমূল আওয়ামীলীগ। উনাকে কাছে পেয়ে অন্যান্য সময়ের থেকে অনেক বেশী ঐক্যবদ্ধ। মনখুলে সুখ দুঃখ উনার সাথে শেয়ার করতে পারি। উনাকে আগামীতে মনোনয়ন দিলে আমরা কুতুবদিয়াবাসী সর্ব্বোচ্ছ ভোট উপহার দেব ইনশাল্লাহ।