ফরিদুল অালম দেওয়ান, মহেশখালী।
আনোয়ারায় এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় মহেশখালীর ২ ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৪ জন। নিহতরা হচ্ছে, মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের পশ্চিম ফকিরা ঘোনা গ্রামের মৃত রহিম বকসুর পুত্র রহিম উল্লাহ প্রকাশ লক্ষী মিস্ত্রী (৪৮) ও একই ইউনিয়নের ফকিরা কাটা গ্রামের মৃত আসমত আলীর পুত্র হাছন আলী (৪৬) ।  ১২ এপ্রিল বিকাল ৪টায় পটিয়া- আনোয়ারা- বাঁশখালীর আনোয়ারাস্থ সিঅাইপি সড়কের হাজী পাড়া নামক স্থানে সিএনজি’ র সাথে ট্রাকের সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সিএনজি চালকসহ আরো ৪ জন আহত হলেও তাদের নাম জানা যায়নি। নিহত রহিম উল্লাহ প্রকাশ লক্ষী মিস্ত্রী পেশায় একজন রাজ মিস্ত্রী। সে বিদেশ ( সৌদি আরব) যাওয়ার উদ্দ্যেশ্যে বিমানের টিকিট করে বাড়ী ফিরছিল। নিহত হাছন আলী লবন ব্যবসায়ি। সে চট্টগ্রাম থেকে লবন বিক্রি করে বাড়ী ফেরার পথে এ দূর্ঘটনার শিকার হন।
নিহতদের পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, নিহত রহিম উল্লাহ সৌদি আরব যাওয়ার জন্য ভিসা পার্সপোর্ট সহ যাবতীয় প্রসেসিং সম্পন্ন করে ট্রেনিং দিয়ে বিমানের টিকিট নিয়ে গতকাল বাড়ী ফিরছিল। তিনিসহ মহেশখালীর লবন ব্যবসায়ী হাছান আলী ও ৩ জন যাত্রী মিলে মইজ্যারটেক থেকে চকরিয়ার বদরখালী আসার উদ্দ্যেশ্য সিএনজিতে উঠেন। গাড়ীটি আনোয়ারা বাঁশখালী সড়কের সিআইপি সড়ক নামক স্থানে হাজী পাড়া মোড়ে পৌছলে চট্টগ্রাম অভিমূখী একটি ট্রাক পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সিএনজি গাড়ীটিকে ধাক্কা দিয়ে পার্শ্ববর্তী খাদে ফেলে দেয়। এতে রহিম উল্লাহ ঘটনাস্থলে মারা যান। সিএনজির চালকসহ অন্যান্য সব যাত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় চমেক হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় অপর আহত লবন ব্যবসায়ি হাছন আলী মারা যান। আহত অন্যান্যদের নাম জানা যায়নি। এরিপোর্ট লেখাকালীন নিহত রহিম উল্লাহ’ র লাশ অজ্ঞাতনামা হিসেবে ময়না তদন্ত শেষে আনোয়ারা থানায় রয়েছে। রাত ১০ টা পর্যন্ত লাশ নেওয়ার জন্য কোন আত্নীয় স্বজন থানায় যায়নি। অপর দিকে নিহত হাছন আলীর লাশ চমেক হাসপাতালে ছিল বলে জানা গেছে।