ভারত সফরের রেশ না কাটতেই এবার দ্বিপক্ষীয় সফরে ভুটান যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনদিনের এই সফর শুরু হচ্ছে আগামী ১৮ই এপ্রিল।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগের আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা দ্বিপক্ষীয় সফর করবেন এবং রাজধানী থিম্ফুতে একটি অটিজম কনফারেন্সে বক্তৃতা দেবেন। আগামী ২০ এপ্রিল ঢাকায় ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরে পাঁচটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা আছে। এগুলো হচ্ছে দ্বৈতকর পরিহার চুক্তি, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং সংস্থার সঙ্গে ভুটানের স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং সংস্থার একটি সমঝোতা স্মারক, কৃষি সহযোগিতার জন্য সমঝোতা স্মারক এবং বাংলাদেশের নৌপথ ব্যবহার করে ভুটানের পণ্য যাতায়াতের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক।

নৌপথ ব্যবহার সংক্রান্ত স্মারক: ভুটান স্থলবেষ্টিত দেশ হওয়ায় বাইরের বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ভারতের ওপর নির্ভরশীল। তাই ভারতের সীমান্ত ব্যবহার করেই নিজেদের পণ্য আমদানি-রফতানি করার সুবিধার্থে বাংলাদেশের সঙ্গে নৌপথ ব্যবহার সংক্রান্ত একটি চুক্তি করতে চায় ভুটান। আশা করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থিম্পু সফরের সময়ে এ ব্যাপারে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, এ সমঝোতা স্মারকে দুটি রুট প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রথম রুটটি হচ্ছে মংলা-কাউখালি-বরিশাল-চাঁদপুর-মাওয়া-আরিচা-সিরাজগঞ্জ-চিলমারি-দইখাওয়া এবং দ্বিতীয় রুটটি হচ্ছে চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-মাওয়া-আরিচা-সিরাজগঞ্জ-চিলমারি-দইখাওয়া। বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার অন্তর্গত দইখাওয়া সীমান্ত ও ভারতের ধুবড়ি সীমান্ত দিয়ে ভুটানের পণ্য আদান-প্রদান হবে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন প্রস্তাবিত এ রুটে ভুটান তার পণ্য আদান প্রদান করলে তাদের পরিবহন খরচ কম হবে এবং বাংলাদেশও তাদের কাছ থেকে সেবা প্রদানের জন্য একটি ট্যাক্স পাবে।