সিবিএন:
কক্সবাজার শহরে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে সন্ত্রসী আবছার বাহিনি। শহর জুড়ে অপহরণ, ছিনতাই, ডাকাতি ও খুনকরেও প্রকাশ্যে অপরাধ ঘটিয়ে যাচ্ছে দক্ষিন রুমালিয়ারছড়ার নতুন এই বাহিনীটি। শহরের শীর্ষ সন্ত্রাসী রকি বাহিনীর আদলে গড়ে উঠা আবছার বাহিনীর প্রধান হলো নুরুল আবছার। আবছারের বাবা কক্সবাজার জেলা পুলিশের গাড়ির ড্রাইভার হওয়ায় বার বার অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে। একাধিক মামলার আসামী হয়েও ডিবি পুলিশের ছত্রছায়ায় আবছার অপরাধ করেই যাচ্ছে। ১০-১২ জন স্বসস্ত্র সন্ত্রাসী নিয়ে আবছার পুরো শহর জুড়ে অপহরণ ও ছিনতাই করে যাচ্ছে। আবছারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও গ্রাপ্তারি পরওয়ানা থাকলেও সে ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে।
আবছারের বাহিনীর অন্য সদস্যরা হলো আবুল কালাম, মুন্না, বড় সালাউদ্দিন, ছোট সালাউদ্দিন, জসিম, তৌহিদ, তানভির, আবু সিদ্দিক, রুবেল, তানবির, নুর জোহার ও তাজওয়ার। আবছার ও তার বাহিনীর হাতে রয়েছে ১০টি অত্যাধুনিক আগ্নেআস্ত্র। তারা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মুক্তিপন আদায় করে। তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেনা সাধারন পথচারী থেকে শুরু করে স্কুল কলেজগামী ছাত্রীরা পর্যন্ত। প্রতিনিয়ত ছিনতাইয়ের পাশাপাশি চাদাবাজিও করে যাচ্ছে তারা।
গত কিছুদিন আগে এক ছাত্রী গোসল করার দৃশ্য গোপনে ভিডিও করে তার ব্লেকমেইলিং করার ভয় দেখিয়ে অভিভাকদের কাছথেকে মোটা টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গত সোমবার রাতে আবছার বাহিনী পৌর আওয়ামীলীগের ৭ নাম্বার ওয়ার্ডের সাধারন সম্পাদক সেলিম ওয়াজেদের বাসায় হামলা চালিয়ে সব কিছু লুট করে নিয়ে যায়। এই সময় সন্ত্রাসীরা ১০ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়ে। এর কিছুক্ষন পরে বাছামিয়ার ঘোনার আরেকটি বাড়িতেও ডাকাতি করে আবছার বাহিনী। ঐ বাড়ি থেকেও প্রায় ৩ লক্ষটাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় তারা।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। স্থানিয়রা জানিয়েছে, আবছার বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তারা একাধিকবার থানায় ও পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করে। কিন্তু সন্ত্রাসী আবছারের বাবা রশিদ ড্রাইভার ডিবি পুলিশের গাড়ির ড্রাইভার হওয়ায় পুলিশ কিছুই করেনি। তারা আশংখা করছেন আবছার বাহিনী আরো বেপরোয়া হয়ে শহরে বড় ধরনের অপরাধ করতে পারে।