এম.এ আজিজ রাসেল :
প্যারাবন কেটে আবারও বাঁকখালী নদীর চর দখল করা হচ্ছে। এতে নতুন করে কেটে ফেলা হয়েছে অন্তত ২০ হাজার গাছ। নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু তুলে ভরাট করা হচ্ছে চর। এরপর প্লট আকারে চড়াদামে বিক্রি করে গড়ে তোলা হচ্ছে ঘরবাড়িসহ অবৈধ স্থাপনা। তাই বাঁকখালী নদী রক্ষায় নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার বিকালে কস্তুরাঘাট এলাকায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়ার নেতৃত্বে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালিয়েছে প্রশাসনের যৌথ টিম। প্যারাবন নিধন করে বাঁকখালী নদীর জমি দখল ও বালু উত্তোলনের ভয়াবহতা দেখে হতবাক হন তাঁরা।

পরে গুড়িয়ে দেওয়া হয় নদী দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা ও বালু উত্তোলনের পাইপ। এসময় বালু উত্তোলনে নিয়োজিত মোর্শেদের মালিকানাধীন একটি ড্রেজার মেশিন জব্দ করে বিআইডব্লিউটি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

অভিযান শেষে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া সাংবাদিকদের জানান, “অপকর্ম করে কেউ পার পাবে না। বাঁকখালী ধ্বংসের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। সেই সাথে নিধন করা প্যারবনের জায়গায় বনায়ন করা হবে।”

তিনি আরও বলেন, “দুষ্কৃতকারীরা খুবই শক্তিশালী। দখলদারদের বিরুদ্ধে আগের মামলাগুলোর অগ্রগতি বৃদ্ধির পাশাপাশি তাঁদের দমনে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে”।

এসময় সদর এসিল্যান্ড মো. জিল্লুর রহমান, পরিবেশ অধিদপ্তর, বনবিভাগ, বিআইডব্লিউটি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।