একাত্তর টিভি অনলাইন:
একটি ফোনকলের অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ফোনের এক প্রান্ত থেকে একজন প্রশ্ন করছেন, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম লিখাতে কতো টাকা খরচ হবে। অপর প্রান্ত থেকে আরেকজন বলছেন, দুই লাখ টাকার মতো।

ফাঁস হওয়া এই ফোনকল রেকর্ডের কথোপকথনকারী দুইজনের পরিচয় পেয়েছে একাত্তর। একজন কক্সবাজার-৪ উখিয়া টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর ছোট সন্তান তারেক রহমান রণি। অপরজন টেকনাফের মুক্তিযুদ্ধ কমান্ডার জহির আহমদ।

ফোন কলে শোনা যায়, রণি তার প্রয়াত পিতা অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি না পাওয়ার বিষয়ে জানতে চান। উত্তরে কমান্ডার জহির আহমদ একজনের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির সার্টিফিকেট নিতে দুই লাখ টাকা খরচ হওয়ার দাবি করেন। (দুজনের কথোপকথন একাত্তরের কাছে সংরক্ষিত আছে।)

তারেক রহমান রণি তার ফাঁস হওয়া অডিও তার সাথে মুক্তিযোদ্ধার কথোপকথন বলে স্বীকার করে বলেন, তার বাবা অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। রাজারকাররা তার বাবাকে হত্যা করতে গিয়ে নামের মিল থাকায় আরেকজনকে হত্যা করে। কিন্তু এতো বছর হয়ে গেলেও তার বাবা প্রয়াত অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাননি।

তিনি আরও বলেন, টেকনাফের মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে এ নিয়ে বহুবার তার পরিবার ধর্ণা দিয়েছে। কিন্তু তারা সার্টিফিকেট পেতে ঘুষ দাবি করে আসছে।

তিনি বলেন, কক্সবাজারে স্বীকৃতি পাওয়া নতুন মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই ঘুষ দিয়ে সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছেন।

নতুন গেজেটভুক্ত হওয়া এক মুক্তিযোদ্ধার আরও একটি কল রেকর্ড একাত্তরের হাতে সংরক্ষিত আছে। ওই মুক্তিযোদ্ধাও দুই লাখ টাকার বিনিময়ে গেজেটভুক্ত হতে পেরেছেন বলে স্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে টেকনাফের মুক্তিযুদ্ধ কমান্ডার জহির আহমদের ফোনে বারবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি