নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এডভোকেট রনজিত দাশ বলেছেন, আগামী ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন ও কাউন্সিলে আমি সাধারন সম্পাদক প্রার্থী হয়েছি। যদি আমি দায়িত্ব পাই তাহলে আওয়ামীলীগে কোন মাদক কারবারি বা রাজাকারপুত্র থাকতে পারবে না। তৃণমূল ও ত্যাগীদের আতুরঘর হবে আগামীর জেলা আওয়ামীলীগ।

শনিবার বিকেলে কক্সবাজার প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রনজিত দাশ বলেন- আমি বর্তমানে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আসন্ন জেলা কাউন্সিলে আমি সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য একজন প্রার্থী। কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ থেকে সাত বছর আগে ২০১৬ সালের ৩০শে জানুয়ারি। জনাব সিরাজুল মোস্তফাকে সভাপতি ও জনাব মুজিবুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি কেন্দ্র থেকে অনুমোদন লাভ করে সম্মেলনের আট মাস পর ১৩ই অক্টোবর। পরবর্তী সময়ে ২০২০ সালের ২৫শে নভেম্বর জনাব সিরাজুল মোস্তফা দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক করা হয়। জেলা কমিটির সহ-সভাপতি জনাব ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়। আমার ৫৫ বছে এ জীবনে আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শ ও চেতনার রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত আছি ১৯৮২ সাল থেকে অদ্যবধি। কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালে আমি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত হই এবং স্কুল শাখার সভাপতি হই। সেই থেকে আমার রাজনীতিতে যাত্রা। শুরু। অনেক চড়ায়-উতরায় পেরিয়ে আজ আমার বর্তমান অবস্থানে। আমার ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে আমি ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামীলীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছি। এছাড়া এ জেলার অসংখ্য সামাজিক, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বহু সরুত্বপূর্ণ সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলছি, রাজনীতিতে হাতেখড়ি হওয়ার পর দীর্ঘ চার দশক কালের রাজনৈতিক জীবনে একটি মূহুর্তের জন্য আদর্শ থেকে বিচ্যুত হই নাই। ৯০ এর দশকে সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জীবনবাজি রেখে লড়াই করেছি। সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী গোষ্ঠী ও গণতন্ত্র বিরোধী বিএনপি- জামায়াতের বিরুদ্ধে পরিচালিত প্রতিটি রাজনৈতিক সংগ্রামে আমি শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসেবে সাহসিকতার সাথে ভূমিকা পালন করেছি। ১১ আগষ্ট/০৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সমাবেশে প্রিয় নেত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলায় (তাৎক্ষণিক) পর পরই আমি পুলিশের বাধা অতিক্রম করে কক্সবাজার প্রধান সড়ক অবরোধ করি। ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের ওয়ান ইলেভেনের সময়ে শেখ হাসিনার মুক্তি এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কক্সবাজারে পালন করেছি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। এইসব আপনাদের অনেকেই ওয়াকিবহাল। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন নিবেদিত কর্মী হিসেবে, দলের প্রতি আমার ত্যাগ, শ্রম, মেধা ও কমিটমেন্টের জায়গা থেকে দলের আসন্ন জেলা কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদটি সংগত কারণেই আমি প্রত্যাশা করতেই পারি । এখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন দলীয় প্রধান, আমাদের মহান নেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর প্রতি আমার অবিচল বিশ্বাস এবং আস্থা আছে যে, তিনি সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আমার নামটি বিবেচনায় রাখবেন। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কাউন্সিলারদের মতামতের ভিত্তিতে জেলা কমিটি নির্ধারণ করবেন প্রিয় নেত্রী।

সংবাদ সম্মলেন উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ছাত্রনেতা গিয়াস উদ্দিন, কৃষকলীগের সহ-সভাপতি আনিসুল হক চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ হোসাইন মাসুম, জেলা আওয়ামীলীগের দফতর সম্পাদক প্রিয়তুষ শর্মা চন্দন, কারা নির্যাতিত সাবেক ছাত্রনেতা স্বপন রায় চৌধুরী, নিরুপম পাল, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক বেন্টু দাশ, জেলা যুবলীগ নেতা স্বরুপম পাল পাঞ্জু, শহর যুবলীগের আহবায়ক শোয়েইব ইফতেখার, শহর যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ শহিদুল্লাহসহ অন্যান্যরা।