মহেশখালীর খাইরুল আমিন হত্যা মামলা : সাবেক মেয়রসহ ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

প্রকাশ: ১ ডিসেম্বর, ২০২২ ০১:৫৫

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


ছবি: বাঁয়ে খাইরুল আমিন, মাঝে সাবেক পৌর মেয়র সরওয়ার আজম, ও ডানে উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মৌলভী জহির উদ্দীন।

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

মহেশখালীর চাঞ্চল্যকর খাইরুল আমিন সিকদার হত্যা মামলায় ৬ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

ঘটনার ৩২ বছর পর মামলাটির রায় ঘোষণা করা হলো। রায় ঘোষণার সময় দন্ডিতদের ৫ আসামীর জন আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার ১ ডিসেম্বর কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন। একই আদালতের বেঞ্চ সহকারী দেলোয়ার হোসাইন এ তথ্য জানিয়েছেন।

রাষ্ট্র পক্ষে অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সুলতানুল আলম মামলাটি পরিচালনা করেন।

যাদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে তারা হলো : মহেশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র, মৃত মোজাহের মিয়ার পুত্র সরওয়ার আজম, তার ভাই মহেশখালী উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মৌলভী জহির উদ্দীন, মহেশখালীর বৃহত্তর গোরকঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, মৃত হাজী আবুল হোসেনের পুত্র শামশুল আলম, অ্যাডভোকেট হামিদুল হক ও মৃত মোজাহের মিয়ার পুত্র নাসির উদ্দিন। বাকী ২০ জন আসামীকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ :

১৯৯০ সালের ৯ এপ্রিল বিকেল পাঁচটার দিকে মহেশখালীর গোরকঘাটা বাজারে দুর্বৃত্তের গুলিতে খুন হন কক্সবাজার জেলা পরিষদের তৎকালীন সদস্য ও তরুণ রাজনীতিবিদ খাইরুল আমিন সিকদার (২৮)। তিনি গোরকঘাটার মৃত হামজা মিয়া সিকদারের ছেলে। এ ঘটনায় পরদিন নিহত খাইরুল আমিন সিকদার এর বড় ভাই মাহমুদুল করিম সিকদার বাদী হয়ে ২৫ জনকে আসামী করে মহেশখালী থানায় ফৌজদারি দন্ডবিধির ১৪৭/১৪৮/১৪৯/৪৪৭/৩০২/৩৪/১০৯ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার থানা মামলা নম্বর : ০৪/১৯৯০ ইংরেজি। জিআর মামলা নম্বর : ৪২/১৯৯০ (মহেশখালী) এবং এসটি মামলা নম্বর : ১৫৫/২০০২ ইংরেজি।

বিচার ও রায় :

সিআইডি’র তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) ১৯৯০ সালের ২৪ নভেম্বর নতুন আরো একজন আসামীকে যুক্ত করে মোট ২৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাটির চার্জশীট দাখিল করে। চার্জশীটের ২৬ জন আসামীর মধ্যে ইতিমধ্যে ৭ জন মৃত্যুবরণ করেছে। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট মামলাটি চার্জ (অভিযোগ) গঠন করে আদালতে বিচার শুরু করা হয়।

মামলায় ৩৪ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামীদের পক্ষে সাক্ষীদের জেরা, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট যাচাই, সুরতহাল প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও আলামত প্রদর্শন, আসামীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ, যুক্তিতর্ক সহ বিচারের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। বৃহস্পতিবার উল্লেখিত আসামীদের দোষী সাব্যস্থ করে বিজ্ঞ বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন উপরোক্ত সাজা প্রদান করেন।