জালাল আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
“নিরাপদ সড়ক চাই” আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং খ্যাতিমান অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন “নিরাপদ সড়ক” প্রতিষ্ঠায় সবাইকে আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠা করতে গাড়ির চালক, মালিক, পথচারী এবং যাত্রী সবাই কে আইন মেনে চলতে হবে।সড়কে অন্যের অধিকার হরণ করে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যায় না। এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস ,সরকার প্রধান ছাড়া সড়কে বাকি সবার সমান অধিকার। আমরা সবাই সড়কে ক্ষমতা প্রদর্শনের চেষ্টা করি। সড়কে আমরা নিয়ম মানি না, আইন মানি না। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর সরকারের অনেক টাকা ক্ষতি হয়।

আজ ১২ অক্টোবর ( ২০২২) বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন এর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত এক শিক্ষার্থী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘নিরাপদ সড়ক চাই” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক রিফাত জাহান শাওন সভাপতিত্বে আর সদস্য সচিব এনামুল হক সঞ্চালনায় আয়োজিত এই সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব লিটন এরশাদ, দপ্তর সম্পাদক ফিরোজ আলম মিলন,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।

ইলিয়াস কাঞ্চন আরো বলেন, ছাত্রদের অনেক ঐতিহ্য আছে। বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রদের অনেক ভূমিকা আছে। স্বাধীনতা অর্জনে ছাত্ররা অবদান রেখেছে। মানুষ চাইলে পারে না এমন কোন কাজ পৃথিবীতে নেই। নিজের জীবন রক্ষায় নিরাপদ সড়ক আমাদের কে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জাতিসংঘের সম্মেলনে
নিরাপদ সড়ক সহ পাঁচটি বিষয় কে এ বছর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

সড়কে হেলমেট এবং সিট বেল্ট ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন , সামান্য একটা হাতুড়ি দিয়ে যে হেলমেট ভেঙ্গে ফেলা যায়, সেই রকম হেলমেট ব্যবহার করলে সড়কে কোন লাভ হবে না। একইসাথে গাড়িতে “সিট বেল্ট ব্যবহার” নিয়ে একটা আইন থাকা দরকার” ‌‌।

নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠায় তিনি যাত্রীদের কে জেব্রা ক্রসিং, আন্ডার পাস এবং ওভার ব্রিজ ব্যবহার করার নিয়ম গুলো মেনে চলার আহ্বান জানান।

নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণের জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মূলত এই শিক্ষার্থী সমাবেশ আয়োজন করা হয়। সমাবেশে হেলমেট ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে কম দামি হেলমেট কত সহজে ভেঙে যায় তা প্রদর্শনের মাধ্যমে দেখানো হয়। আদর্শ হেলমেটের মানদন্ড নিরুপন ও গতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন বক্তারা।