মো. নুরুল করিম আরমান, লামা প্রতিনিধি:

লীজ প্রাপ্ত জমিতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী কর্তৃক জোর পূর্বক স্থাপনা নির্মাণ, লেবার ও টেপার শেড ভাংচুর, ১২ হাজারের বেশী রাবার গাছ কেটে ফেলা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রাণ নাশের হুমকি এবং মিথ্যা অভিযোগ তুলে মামলা আদালতে মামলা রুজুর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

মঙ্গলবার বিকেলে লামা প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলাস্থ হলরুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বাণিজ্যিক রাবার চাষের জন্য সরকারের কাছ থেকে প্রতিজন ২৫ একর করে ৬৪ জন বিনিয়োগকারীর মোট ১৬০০ একর পাহাড়ি ভূমিকে একটি কোম্পানির আওতায় নিয়ে রাবার চাষ শুরু করে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ২০১৩ সালে দু’টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি পরিবার লীজের ভূমিতে ঘর বেঁধে থাকা শুরু করলে মানবিক কারণে তাদেরকে সেখান থেকে উঠিয়ে দেয়া হয়নি। এরপর গত কয়েক বছরে একে একে ৩৬টি পরিবার সেখানে জোর জবরদস্তি করে বসবাস করছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, কয়েকটি কথিত এনজিও সরলপ্রাণ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের উস্কানি দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে ঢাকা চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন স্থানে প্রেস কনফারেন্স করাচ্ছে। আমাদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা করাচ্ছে। আমরা তো এখানে কারোর সাথে দ্বন্ধ করতে আসিনি। প্রচলিত আইনী বিধানে জমি লীজ নিয়ে পরিবেশ রক্ষা সহ আর্ন্তজাতিক পণ্য হিসেবে স্বীকৃত রাবার চাষ ও উৎপাদন করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিনিয়োগ করতে এসেছি। কিন্তু একটি তৃতীয় পক্ষ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের উস্কানী দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে হত্যা প্রচেষ্টার মামলা, ঝিরির পানিতে বিষ প্রয়োগ, বৌদ্ধ মন্দির ভাংচুরের মত মিথ্যা অভিযোগ তুলে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে চলেছে। শুধু তাই নয়, এ পর্যন্ত আর্থিকভাবে ৪ কোিিট ২৭ লক্ষ ৪২ হাজার টাকার ক্ষতিসাধনও করেছে।

সম্মেলনে জানানো হয়, বিষয়টি মীমাংসার জন্য জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে ডাকা ত্রিপক্ষীয় সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি নিজেও সমাধানের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বিরুদ্ধাচরণকারীরা তাতে সম্মত হয়নি। তাই সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক স্থাপিত সকল ধরণের স্থাপনা সমূহ অপসারণ, মিথ্যা অভিযোগ তুলে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও লামা রাবরের জায়গা লামা রাবারকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য জোর দাবী তুলেন কোম্পানীর চেয়ারম্যান সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে কোম্পানীর এম.ডি জহিরুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন, ডিরেক্টর শাহ করিমুল হক ও ইফতেখার আলম, ম্যানেজার মো. আরিফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।