বঙ্গোপসাগরে মালয়েশিয়াগামী একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এতে ট্রলারে থাকা প্রায় ৩০ জনকে উদ্ধার করা হলেও বাকি প্রায় দুই শতাধিক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।

নিখোঁজ যাত্রীদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। তবে সাগর থেকে সাঁতার কেটে যারা তীরে ফিরে এসেছেন, তাদের কোস্টগার্ড ও পুলিশ আটক করেছে বলে জানা গেছে।

উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা বর্তমানে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শিলখাল, বান্নাপাড়া ও হলবনিয়ায় রয়েছে বলে জানা গেছে।

বাহারছড়া এলাকার বাসিন্দা জিয়াউর রহমান যুগান্তরকে জানান, মঙ্গলবার ভোরে হাঁটতে বের হলে ওই স্থানে কয়েকজন মানুষকে জড়ো হতে দেখতে পাই।

সেখানে সাগর থেকে উদ্ধার হওয়া কক্সবাজারের মহেশখালী এলাকার এক ব্যক্তি জানান, তাদের বহনকারী মালয়েশিয়াগামী ট্রলারটি সাগরের মধ্যে তলা ফেটে গেলে সবাই পানিতে পড়ে যায়।

এদের মধ্যে সাঁতার কাটতে জানে এমন কয়েকজন মানুষ তীরে উঠতে পারলেও বাকিরা সাগরে নিখোঁজ রয়েছে।

উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের দাবি, ট্রলারটিতে দুই শতাধিক লোক ছিল, যারা সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টায় ছিল।

বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ যুগান্তরকে জানান, সাগর থেকে ভেসে আসা ৩০ জনকে আমরা পাহারায় রেখেছি।

উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা বলেছেন, বঙ্গোপসাগরে মালয়েশিয়াগামী ট্রলার ডুবেছে, এখনো কতজন নিখোঁজ আছে তা বলা যাচ্ছে না।

তবে কক্সবাজার থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, ট্রলারডুবির ঘটনায় উদ্ধার যাত্রীরা জানিয়েছেন এতে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিল। তাদের মধ্যে ৩০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিরা নিখোঁজ রয়েছে।
-যুগান্তর