পেকুয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তির মামলায় মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরীসহ দুজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।

সোমবার (১৯সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার বিশ্বাস এ নির্দেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো অপরজন হলেন, মগনামা ইউপির ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা আমিনুল কবির।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোছাইন মহিলা দলের একটি সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিসাকে অশ্লীল ভাষায় কটূক্তি করেন। মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরীর প্রত্যক্ষ মদদে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করা ছাড়াও ইউনুছ চৌধুরী বক্তব্যটির ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরিতে সহযোগিতা করেন। ফরহাদ হোছাইন ও আমিনুল কবির রানা ডিজিটাল ডিভাইসে রেকর্ড করেন। আবু তাহের বক্তব্যটি ফেসবুকে ছেড়ে দেন।

জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউপি কার্যালয়ে মহিলা দলের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোছাইন। ওই ঘটনায় ১৯ জুলাই পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। মামলায় ইকবাল হোছাইন ছাড়াও আসামি করা হয় মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরী, পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফরহাদ হোছাইন, মগনামা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবু তাহের ও ইউপির ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা আমিনুল কবিরকে।

আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি ফখরুল ইসলাম বলেন, মামলায় ইউনুছ চৌধুরী ও আমিনুল কবির হাইকোর্ট থেকে সাত সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে সোমবার ওই দুজন কক্সবাজার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।