মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুংধুমের রেজু গর্জনবুনিয়া সীমান্ত দিয়ে এবার মিয়ানমারের হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া গোলা এসে পড়েছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। গোলাবর্ষনের আওয়াজ ও গোলার ভয়ে ওই সময় বিভিন্ন বাগানের কর্মরত শ্রমিকরা পালিয়ে এসেছে বাড়িতে।
সীমান্তের অনেকে জানান গত রোববার এই এলাকায় মর্টার শেল নিক্ষেপের বিষয়ে সীমান্তবর্তী ইউনিয়নটির সবর্ত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এবিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিবাদ করা হয়।

কিন্তু মিয়ানমার বাহিনী তা কর্ণপাত না করে মঙ্গলবার (৩০ আগষ্ট) সারাদিন সীমান্তে মর্টার শেল নিক্ষেপ করে এবং মিয়ানমারের হেলিকপ্টার চক্কর দিতে থাকে। মঙ্গলবার সকালে ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজের বাগানে কিছু শ্রমিক কাজ করছিলো। হঠাৎ তারা দেখতে পান
আকাশে হেলিকপ্টার উড়ছে। একটু পর তা দ্রুত তাদের বাগানের দিকে আসতে- না আসতেই গোলা ছুড়তে শুরু করে। এভাবে দুপুর পর্যন্ত গোলাবর্ষণের পর তারা কাজ না করে একপর্যায়ে বাড়িতে চলে আসেন।

চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ জানান, মঙ্গলবার মিয়ানমারের একটি হেলিকপ্টার কয়েক দফা তার বাগান ও আশপাশে টহল দিয়ে অসংখ্য গোলা বর্ষণ করেছে। এ কারণে তার লেবাররা কাজ না করে বাড়ি ফিরে এসেছে।

উল্লেখ্য গত ২৮ আগষ্ট রোববার মিয়ানমারের সরকারী বাহিনী ও আরকান আর্মির সংগঠিত যুদ্ধে ব্যবহৃত পরপর দু’টি মর্টারশেল বাংলাদেশের কয়েক’শ গজ ভেতরের তুমরু গ্রামে এসে পড়ে। অবিষ্ফোরিত এই ২ টি মর্টারশেল সেদিন রাতে ধ্বংস করেন বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর রামু সেনা নিবাসের কর্মরত বোমা বিশেষজ্ঞ একটি টিম।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানা যায় গত সোমবার দুপুরে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় কড়া প্রতিবাদ জানান। এবিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে সোমবার একটি মৌখিক নোটের মাধ্যমে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন, যেন এ ধরণের ঘটনা আর না ঘটে। তিনি এ ঘটনার নিন্দাও জানিয়েছিলেন। কিন্তু এর পর দিন মিয়ানমার মঙ্গলবারও সীমান্তের রেজু গর্জনবুনিয়া পয়েন্ট সহ বিভিন্ন পয়েন্টে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় মায়ানমারের এমন আচরণের কারণে ঐ এলাকার বসবাসরত মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় বিজিবি কর্তৃপক্ষের কাছে বক্তব্য নিতে বারবার চেষ্টা করলেও মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।