ইমাম খাইর, সিবিএনঃ
কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পাশের রাস্তায় গতিরোধ করে পর্যটককে ছুরিকাঘাত ও ক্যামেরা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাইকৃত ডিএসএলআর ক্যামেরা।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা মুহুরিপাড়ার মোঃ ছৈয়দ করিমের ছেলে মোঃ ইয়াছিন (২১), শহরতলীর লারপাড়ার আবদুশ শুক্কুরের ছেলে রুবেল (২০), রামু পানের ছরা মৌলভী পাড়ার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মোঃ ইব্রাহিম প্রকাশ সাগর (২০)।

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দিবাগত রাতে পূর্ব কলাতলি চন্দ্রিমা মাঠ এলাকা থেকে ৩ ছিনতাইকােীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর আগে ২৩ আগস্ট ঘটনার দিনই ইফতেখার হোসেন নাবিল (২৩) নামক ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সে শহরের তারাবনিয়া ছড়া এলাকার আলী হোসেনের ছেলে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় বর্তমানে সে কারান্তরীন।

এসব তথ্য জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারে রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম।

তিনি জানান, গত ২২ আগস্ট ঢাকার ধামরাই থেকে ৩৯ জন পর্যটক কক্সবাজারে বেড়াতে আসে। কটেজ জোনের হামজা রিসোর্টে তারা উঠে। তাদের মধ্যে সুমন হোসেন, আব্দুল আলীম, সুভাষ ও মোঃ সুমন পরের দিন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পাশের রাস্তা হয়ে লাবনী বিচের দিকে যাচ্ছিল। তাদের মধ্যে সুমন হোসেনের কাছে একটি ডিএসএল আর ক্যামেরা ছিল। তাদের ৪ জনের মধ্য হতে সুমন বাকিদের থেকে একটু সামনে একা একা হেটে যাচ্ছিল। ঠিক হান্ডি রেস্তোরাঁর সামনে নিউ মা আচার বিতানের সামনে একটি অটোতে করে ৭ জন ছিনতাইকারী সুমনকে ঘিরে ধরে। কিছুটা পেছনে থাকা ৩ জনকে ছুরির ভয় দেখিয়ে তাড়া করে। সুমনের সাথে ধস্তাধস্তি করে ডিএসএলআর ক্যামেরা ছিনিয়ে নিতে চায়। এসময় বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা সুমনকে ছুরিকাঘাত করে ক্যামেরাটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।

ধস্তাধস্তির সময় ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন ঘটনাস্থলে ফেলে পালিয়ে যায়। ট্যুরিস্ট পুলিশ খবর পেয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

এই ঘটনায় ভিকটিমের সাথে থাকা আরেক পর্যটক মোঃ নুরুল হক বাদি হয়ে ২৪ আগস্ট কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন। যার মামলা নম্বর ৫৪/৫৫২। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৮ জন আসামি করা হয়।

মো. রেজাউল করিম জানান, ছিনতাইকারীদের ফেলে যাওয়া মোবাইলের সূত্র ধরে ইফতেখার হোসেন নাবিলকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে ট্যুরিস্ট পুলিশ। তার দেয়া তথ্যমতে ও উদ্ধারকৃত মোবাইলের সূত্র ধরে ছিনতাইচক্রের ৩ সদস্য মোঃ ইয়াসিন, মোঃ রুবেল ও মোঃ ইব্রাহিম ওরফে সাগরকে গ্রেফতার করা হয়। রুবেলের দেখানো জায়গা হতে ছিনতাই হওয়া ক্যামেরাটি উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করা হবে। অভিযান চলছে।