আব্দুল্লাহ সায়েমঃ

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট বলা হয় সুগন্ধা পয়েন্টকে। কিন্তু এই সড়ক দিয়ে যাওয়ার পরিবেশ দিন দিন নষ্ট করে আসছে অবৈধ কিছু ভ্রাম্যমাণ দোকান। সদ্য নির্মিত দুই লেন বিশিষ্ট সড়কটির দুপাশেই প্রায় অর্ধ শতাধিক পঁচা-বাশি মাছের দোকান গড়ে উঠেছে। যেসবের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ দূর-দূরান্ত থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা। সমুদ্রের প্রবেশ মূখেই গড়ে উঠা এসব অবৈধ দোকানে সস্তা, অস্বাস্থ্যকর এবং ভিনেগার মিশ্রিত পঁচা মাছ ও কাকড়ার উপর ময়দা আর হলুদের প্রলেপ দিয়েই ভেজে আকাশচুম্বী দামে বিক্রি করা হচ্ছে। যেসব দোকানে নেই কোনো মূল্য তালিকা৷

এ ব্যাপারে ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মোহাম্মদ হাফিজের মন্তব্য জানতে চাইলেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন “সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেও এসব দুর্গন্ধ সত্যিই অস্বস্তির! পুরো সড়ক তাদের দখলে, প্রশাসনের উচিৎ এসব ভ্রাম্যমাণ দোকান অন্যত্রে সরিয়ে দেয়া।”

তাছাড়াও স্থানীয় এক পর্যটক এসব পঁচা মাছের ব্যাপারে বলেন, “শখের বসে একবার খাওয়া হয়েছে এরপরই বেশ ক’দিন অসুস্থতায় ভুগছি। অন্তত আগত পর্যটকদের সুবিধার্থে এসব পঁচা মাছের অবৈধ দোকান গুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উচ্ছেদ করা প্রয়োজন!”

এসব পঁচা অস্বাস্থ্যকর মাছের ছবি নিতে গেলে এক পর্যায়ে আগ্রাসী হয়ে উঠেন এই বিক্রেতা! এবং সংবাদকর্মীর উপর আক্রমণাত্মক আচরণ করতে থাকেন৷

সুগন্ধাপয়েন্টে প্রবেশের এই সড়কটির দু পাশে গড়ে উঠা এসব অবৈধ এবং অস্বাস্থ্যকর মাছের ভ্রাম্যমাণ দোকানের ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান জানান, ” অতীতে আমরা একাধিক বার অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে এসব দোকান সরিয়ে ফেলি এবং পঁচা এবং অস্বাস্থ্যকর মাছ পাওয়ায় ডাস্টবিনে ফেলে দেয়া হয়েছিল। এবং দ্রুত এসব অবৈধ দোকান গুলো স্থায়ীভাবে তোলে দেয়ার চেষ্টা অব্যাহত আছে। ”

যদি দ্রুতই এসব অবৈধ ভ্রাম্যমাণ দোকান গুলো উচ্ছেদ করা না যায় তাহলে দ্রুতই পর্যটক হ্রাস পাবে জনপ্রিয় এই সুগন্ধা পয়েন্টে, এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।