আব্দুস সালাম,টেকনাফ(কক্সবাজার):
কক্সবাজারের টেকনাফ হ্নীলা নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১৫) এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ১জন ভিকটিম উদ্ধারসহ অপহরণকারী দলের এক সদস্যকে আটক করা হয়েছে । অপহরণকারী হলেন হ্নীলা নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা মুচনী ক্যাম্পের এইচ ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসোইনের ছেলে মোহাম্মদ আলম (২১)।
র‌্যাব-১৫ এর কক্সবাজার ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার ও সহকারী পরিচালক (ল এন্ড মিডিয়া) মো. বিল্লাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গত রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারী) গভীর রাতে র‍্যাব-১৫ এর চৌকষ একটি আভিযানিক দল টেকনাফ হ্নীলা নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ ব্লকের পানির রির্জাভের সামনে একটি অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিম মো. সেলিমকে উদ্ধার করে এবং অপহরণকারী দলের সদস্য হ্নীলা নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা মুচনী ক্যাম্পের এইচ ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসোইনের ছেলে মোহাম্মদ আলম (২১) কে আটক করা হয়। অপহরণকারী দলের অন্যান্য সহযোগীরা হলেন, একই ক্যাম্পের একই ব্লকের আব্দুস সালাম প্রঃ লম্বা কালার ছেলে জোবায়ের(২৬),মো. সুলতানের ছেলে কালা হাসান(৩৭),মো. আমিনের ছেলে সাদ্দাম(১৮), সানাউল্লাহ(২৮) পিতা অজ্ঞাত,ইজ্জত আলী(১৮) পিতা অজ্ঞাত, রফিক(২৪) পিতা অজ্ঞাত পালিয়ে যায়।

উল্লেখ্য,চকরিয়া জালিয়া পাড়া হালকাকারা এলাকার অপহৃত মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. সেলিমের স্ত্রী নুর বেগমের অভিযোগের সূত্র ধরে মালয়েশিয়া থাকাকালীন টেকনাফ মুচনী নয়াপাড়ার জনৈক আনোয়ার তার নিকট থেকে ৫০০ রিক্ষিত ধার নেয়। এরপর গত ১৮ ফেব্রুয়ারী দীর্ঘদিনের পাওনা মুদ্রা রিক্ষিত উদ্ধারের জন্য তিনি আনোয়ারের খোঁজ করতে উপজেলার হ্নীলা নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প ০৮ এর মসজিদ (মসজিদ এ বেলাল) সংলগ্ন ইটের রাস্তায় গেলে কয়েকজন অপহরণকারী মো. সেলিমকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখে এবং তার পরিবারের কাছ থেকে ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবী করে না দিলে অপহৃতকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

পরে ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে,গত ১৮ ফেব্রুয়ারী কয়েকজন অপহরণকারী তাকে অপহরণ করে হাত-পা বেধে একটি খাদে আটকে রাখে ও মারধর করে। একপর্যায়ে তার কাছ থেকে পরিবারের মোবাই নম্বর নিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীচক্রের সদস্যরা। মুক্তিপণের টাকা না দিলে হত্যার হুমকি দেয়। উদ্ধার ভিকটিমকে চিকিৎসা শেষে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে এ ঘটনার বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানায় করেছেন এবং পলাতক অপহরণকারীদের গ্রেফতার করতে র‌্যাব-১৫ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।