চট্টগ্রাম প্রতিনিধি॥

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, করোনা মহামারির কারণে গতবছর প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও অমর একুশে বইমেলা শুরু করতে পারিনি। চসিকের উদ্যোগে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আগামী ১৭ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রামে বইমেলা শুরু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারের স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের আলোকে বইমেলা আয়োজনের সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আজ (২৭ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার বিকেলে টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী নগর ভবনে সম্মেলন কক্ষে ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২২’ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সমাজ কল্যাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি আবদুস সালাম মাসুম, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, সৃজনশীল প্রকশনা পরিষদের সভাপতি মহিউদ্দিন শাহআলম নিপু, সাধারণ সম্পাদক আলী প্রয়াস, অভিক ওসমান, দেওয়ান মাকসুদ আহমেদ, জামাল উদ্দিন, ওমর কায়সার, রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, শুকলাল দাশ, দিপেন চৌধুরী, মুহাম্মদ শামছুল হক, দীপক কুমার দত্ত, আ ফ ম মোদাচ্ছের আলী, রেহেনা চৌধুরী, মিজানুর রহমান শামীম, মো. নুরুল আবছার, গোফরান উদ্দিন টিটু, রূপম মুৎসুদ্দি, কবি আইয়ুব সৈয়দ, মো. ইকবাল হোসেন, নজরুল ইসলাম মোস্তাফিজ, স.ম জিয়াউর রহমান, প্রণব চৌধুরী, জয়নুদ্দিন আহমেদ জয়, ভাষ্কর ডি.কে দাশ মামুন, সমীরণ পাল।

মেয়র আরো বলেন, বইমেলা হলো বইকে উপলক্ষ করে লেখক ও পাঠকের মিলনমেলা। গ্রন্থমেলা নিয়ে গ্রন্থপ্রেমী মানুষের মধ্যে আগ্রহ রয়েছে।

এছাড়া করোনা অতিমারির কারণে মানুষ বাসায় বন্দি থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছে। তারা সুযোগ পেলেই বাইরে আসছে সুতরাং বইমেলা শুরু হলে জনসাধারণের প্রাণের স্পন্দন ও পদচারণায় মুখর হয়ে উঠবে বইমেলা। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাস না করে তাদের প্রকাশিত বইমেলায় যাতে স্থান না পায় সেব্যাপারে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।

তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম সবসময় নানাক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। অনেক গৌরব-গাঁথায় সমৃদ্ধ চট্টগ্রামের ইতিহাস। এই ইতিহাসকে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা আমাদের দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে বইমেলায় ক্রেতা ও পাঠকরা আসতে পারেন সে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে চসিক। উল্লেখ্য গতবছর বইমেলায় ১৩৮টি প্রকাশনী সংস্থা অংশগ্রহণ করেছিলো তারা এবারও বইমেলায় অংশ নিবেন বলে মেয়র আশাবাদ ব্যক্ত করেন।