শাহেদুল ইসলাম মনির, কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:

নাই রক্ষার উদ্যোগ, নাই কোন দেখার কেউ বলছি কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ সমুদ্র সৈকতে দক্ষিণ অংশের ঝাউগাছের কথা। একদিকে সাগরের উত্তাল ঢেউ
অন্যদিকে স্থানীয়দের রান্নার লাকড়ি হয়ে জ্বলছে চুলার আগুনে।

সৈকতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, যে ঝাউ গাছগুলোকে কেন্দ্র করে এই সৈকত গড়ে উঠেছে। সেই সৌন্দর্য বৃদ্ধিকারী এসব ঝাউগাছ আজ বিলীনের পথে দাঁড়িয়েছে। আবার বনবিভাগের কোন নজরদারী না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে ঝাউগাছের গোঁড়ালি থেকে বালি সরিয়ে ফেলে সেগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় লােকজনেরা। কিন্তু কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সচেতন মহলের দাবি, অবাধে বালু উত্তোলন করার কারণে গাছের গোড়া উপড়ে যাচ্ছে ফলে, প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলন হতে থাকলে অচিরেই বিলীন হয়ে যাবে এ ঝাউগাছ।

ঝাউগাছের গোঁড়ালি কাটার সময় রেহানা বেগম নামে এক মহিলার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অবাজি আই গরিব মানুষ,দুয়া ভাত রাদিবালাই ধরগৌ নিযায়রদে।

এ বিষয়ে জলবায়ু ফোরামের সভাপতি ও কুতুবদিয়া প্রেসক্লাবের সেক্রেটারী দৈনিক জনকন্ঠ ও দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকার নিজস্ব সংবাদদাতা এম.এম.হাছান কুতুবী বলেন,
প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নজরদারি না থাকায় বড়ঘোপ সমুদ্র সৈকতের দক্ষিণ অংশের ঝাউগাছ বিলীন হওয়ার কারণে হুমকির মুখে রয়েছে আশপাশের এলাকা। এসব স্থানে জিও ব্যাগ দিয়ে বাঁধ না দিলে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে স্থানীয় রেঞ্জার সেলিম রেজা বলেন, জোয়ারে নিচ থেকে ঝাউগাছের বলি সরে যাওয়ার কারণে গাছগুলো পড়ে গেছে। গাছের গোঁড়ালি কাটার বিষয়টি নিয়ে আমরা ব্যবস্থা নিবো। যেগাছগুলো কাটা অবস্থায় রয়েছে সেগুলো নিলামে বিক্রি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।