সিবিএন:

দেশজুড়ে তোলপাড় হওয়া কক্সবাজারের এক নারী পর্যটককে ধর্ষণকাণ্ডের মূল হোতা আশিকুল ইসলামের
তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবুল মনসুর ছিদ্দিকি এই রিমান্ড আদেশ দেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মহিউদ্দীন এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন রোববার আশিককে কক্সবাজার কারাগারে আনার পর সোমবার দুপুরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করে পুলিশ। আদালত আবেদন আমলে নিয়ে শুনানির তালিকা রাখেন। মঙ্গলবার তা শুনানীর কার্যতালিকায় রাখেন।

প্রসঙ্গত, গত ২২ ডিসেম্বর কক্সবাজারে স্বামী ও সন্তানকে জিম্মি করে কথিত পর্যটক ওই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। এই ঘটনা নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। এই ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর স্বামী। মামলায় নাম উল্লেখ করা চার আসামি হলেন, কক্সবাজার শহরের মধ্যম বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ শফি ওরফে ইসরাফিল হুদা জয় ওরফে জয়া, মেহেদী হাসান বাবু ও জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।

এর মধ্যে এ মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রধান আসামী আশিকুল ইসলামকে ২৬ ডিসেম্বর মাদারীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তাকে ঢাকার আদালতে তোলা হয়। আদালতের আদেশ মতে কক্সবাজার কারাগারে পাঠানো হয়েছে আশিককে।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, স্বামী-সন্তান নিয়ে তিনি কক্সবাজারে আসেন। এর মধ্যে ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার কিছু পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। আর তাকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় জোর করে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে শহরের একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানে নিয়ে প্রথমে তিনজন ধর্ষণ করেন। তারপর নেয়া হয় হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের একটি হোটেলে। সেখানে আবারও তাকে ধর্ষণ করেন প্রধান আসামী আশিক। ওই দিনই র‌্যাবের একটি ওই নারীকে হোটেল থেকে উদ্ধার করে এবং ওই হোটেলের ম্যানেজার ছোটনকে গ্রেপ্তার করেন।