♦মাঠে থাকবে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী♦

এম.মনছুর আলম, চকরিয়া :
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তপসিল অনুসরণে চতুর্থ ধাপে ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্টিত হচ্ছে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ৮ ইউপি নির্বাচন। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
যেসব ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে সে গুলো হলো, চিরিংগা, ফাঁসিয়াখালী, ডুলাহাজারা, খুটাখালী, বমুবিলছড়ি, বরইতলী ও হারবাং ইউনিয়ন।
এদিকে, নির্বাচনের মাঠে দুইজন জুড়িসিয়াল ও ২১ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের তত্তাবাধানে উপজেলার ৭২টি ভোট কেন্দ্রে ভোটের দিন নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও আনসারসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৩ হাজার সদস্য। অপরদিকে, ভোট কেন্দ্র গুলোতে ৪ জন রির্টানিং কর্মকর্তার তত্তাবধানে ভোট গ্রহণে দায়িত্ব পালন করবেন ৭২ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৩৪০ জন সহকারি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ৬৮০ জন পোলিং কর্মকর্তা।

চকরিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, ৮ ইউনিয়নে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তার তত্তবাধানে থাকবে চারজন পুলিশ ও ১৭ জন আনসার সদস্য। এরমধ্যে থাকবে সশস্ত্র আনসার সদস্য। এছাড়াও নির্বাচনী এলাকায় টহলে থাকবে ২ প্লাটুন বিজিবি সদস্য ও র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটলিয়ান (র‌্যাব) বেশ কয়েকটি টিম কাজ করবে।

তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের পাশাপাশি ভোট কেন্দ্রগুলোর আশপাশ এলাকায় অবস্থান করবে পুলিশের স্টাইকিং ফোর্স ও মোবাইল টিম। একজন পুলিশ পরির্দশকের তত্তাবধানে প্রতিটি স্টাইকিং ফোর্সে থাকবে ৫ জন করে সদস্য। অপরদিকে প্রতিটি মোবাইল টিমে একজন উপ-পরিদর্শকের (এসআই) নেতৃত্বে থাকবে ৬জন করে পুলিশ সদস্য। তাদের পাশাপাশি নির্বাচন অনুষ্ঠানে সমন্বয়ে থাকবে ১জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ২ জন সহকারি পুলিশ সুপারের তত্তাবধানে থাকবে কয়েকটি বিশেষ টিম। প্রত্যেক টিমে একজন সহকারি পুলিশ সুপারদের সাথে থাকবে পুলিশের সদস্য।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ৮ ইউনিয়নের ৭২ টি ভোট কেন্দ্র গুলোতে ৪ জন রির্টানিং কর্মকর্তার তত্তাবধানে এদিন ভোট গ্রহণের দায়িত্ব পালন করবেন ৭২ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ৩৪০ জন সহকারি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ৬৮০ জন পোলিং কর্মকর্তা। ইতোমধ্যে এসব কর্মকর্তাদেরকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের কেন্দ্রগুলোতে দায়িত্ব বন্টন করে দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার চিরিংগা, ডুলাহাজারা, হারবাং, বরইতলী, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মধ্যে বেশকিছু ভোট কেন্দ্রকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহিৃত করা হয়েছে।