এম.এ আজিজ রাসেল:
উখিয়ার পালংখালীর থাইংখালীতে কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছে না পাহাড় নিধন। স্থানীয় চেয়ারম্যানের ভাতিজা জাহাঙ্গীর ও শফিকের নেতৃত্বে ৮ জনের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট সাবাড় করছে বড় বড় পাহাড়। সিন্ডিকেটটি পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে প্রতিনিয়ত।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, থাইংখালীর হাকিম পাড়া এলাকার ‘চেয়ারম্যানের পাহাড়’ যেকোন দুর্যোগে ব্যাপক অবদান রাখতো। কিন্তু বিশাল সেই পাহাড়ের অস্থিত্ব বিলীন হওয়ার পথে। পাহাড়খেকোরা সেই পাহাড়টি কেটে এখন বিরানভূমিতে পরিণত করছে। একই সাথে ইউনিয়ন পরিষদের পেছনের পাহাড়, মোচার খোলা, আব্দু শরিফের ঘোনা, ক্যাম্প ১২ এর পাহাড় নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে পরিবেশে। পরিবেশ রক্ষা ও পাহাড় কাটা বন্ধে বন বিভাগ প্রতিনিয়ত অভিযান অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু বন বিভাগকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পাহাড় খেকো সিন্ডিকেট নিত্য নতুন কৌশলে নির্বিচারে পাহাড় নিধনে ব্যস্ত রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গফুর উদ্দিন চেয়ারম্যানের আশ্রয়ে তাঁর ভাতিজা মুফিজের পুত্র জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বেই এসব পাহাড় কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। এই সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য হিসেবে রয়েছে শফিক, মৃত ইলিয়াছের পুত্র সাহাব উদ্দিন, ছৈয়দ আলমের পুত্র ইউনুছ, মৃত মালেকের পুত্র মোহাম্মদুল হক, শুক্কুরের পুত্র আবু ছৈয়দ, নজু মিয়ার পুত্র কসায় গফুর ও মৃত আবদু শরীফের পুত্র আমিন। এই সিন্ডিকেট ট্রাক ও ঢাম্পার নিয়ে পাহাড় কেটে প্রতিনিয়ত মাটি পাচার করছে। মাটি পাচারে ব্যবহৃত গাড়ি নং হলো—৮২৮৪, ৫৫৪, ৩১৬৯, ১৭৫২, ১৩১৯ সহ আরও অনেক। তারমধ্যে বেশ কয়েকটি গাড়ি বনবিভাগ জব্দ করেছে।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিনের ব্যবহৃত সরকারি ০১৮১৯০৩৮৫৭৬ নাম্বারে কল দিলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগে বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. সরওয়ার আলম বলেন, সেখানে পাহাড় কাটা বন্ধে একাধিক অভিযান চালানো হয়েছে। মাটি পাচারে নিয়োজিত অনেক ঢাম্পার গাড়িও জব্দ করা হয়েছে। তবুও পাহাড় কাটা বন্ধ না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।