সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :

সম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারের কতিপয় দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গুটিকয়েক সম্মানিত সাংবাদিক পর্যটন সেক্টরকে সুপরিকল্পিতভাবে নানাবিধ মিথ্যা ও তথ্যনির্ভর নয় এই ধরণের কাল্পনিক, নেতিবাচক সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নির্দিষ্ট কোন রেস্তোঁরার নাম উল্লেখ না করে ঢালাওভাবে সকল সম্মানিত রেস্তোঁরা মালিকদের অভিযুক্ত করে ‘পর্যটকদেরকে জিম্মি করে গলাকাটা বানিজ্য করছে’ বলে মিথ্যা ও নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন না করার জন্য আহবান জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা রেস্তোঁরা মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দরা।

নেতৃবৃন্দরা মনে করেন, কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প ধ্বংসে নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করার কারণে রেস্তোঁরা মালিকদের মান সম্মান ও ব্যবসায় আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

২০ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় কক্সবাজার নিরিবিলি অর্কিড সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ রেস্তোঁরা মালিক সমিতি কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি নইমুল হক চৌধুরী টুটুল লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেস্তোঁরা মালিক সমিতি কক্সবাজার জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মুহাম্মদ আলী, সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি শরাফত উল্লাহ বাবুল সিকদার, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম ডালিম, মোঃ রফিকুল কাদের, মোঃ তৈয়ব, মোঃ জামাল উদ্দিন বাবুল, মোঃ মাসুদ আলম, মোঃ আরিফুর রহমান, মোঃ জয়নাল আবেদীন, মোঃ মাহাবুব আলম, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোঃ জামান হোসাইন, মোঃ কামাল প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে রেস্তোঁরা মালিক সমিতির সভাপতি নইমুল হক চৌধুরী টুটুল লিখিত বক্তব্যে জানান, আপনারা সকলেই নিশ্চয় বিশদভাবে অবগত আছেন যে, দীর্ঘ করোনা মহামারী কালীন সময়ে সমগ্র বাংলাদেশের ন্যায় কক্সবাজারের রেস্তোঁরা সেক্টরের মালিক/শ্রমিক কর্মচারীরা নিদারুন আর্থিক কষ্টে দিনাতিপাত করেছেন। করোনার মাত্রা কমে আসার পরে আবারও আমরা অনেকে অনেক কষ্ট করে রেস্তোঁরা ব্যবসা চালু করেছি। আমাদের সমিতিভুক্ত ১১৫টি রেস্তোঁরা থেকে আমরা সরকারের রাজস্ব ভ্যাটও নিয়মিত আদায় করছি। আমরা অত্যন্ত দুঃখ পরিতাপের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, ইদানিং ১৬ ডিসেম্বর থেকে কয়েক দিন কয়েকজন সম্মানিত সাংবাদিক ভাইয়েরা অহেতুক কিছু মিথ্যা, কাল্পনিক, মনগড়া বক্তব্য সমূহ আমাদের রেস্তোঁরা সেক্টরের বিরুদ্ধে ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অব্যাহতভাবে লিখার কারণে আমরা মনে করি আমাদের ব্যবসার মান সম্মানের ও আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা দুঃখের সাথে আরও বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, কক্সবাজারের প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাহেব আমাদের সাথে কোন আলাপ আলোচনা না করেই সরাসরি ওনার ভেরিফাইড ফেইসবুকে লিখে দিলেন কোড “আমরা রেস্তোঁরা ব্যবসায়ীরা নাকি চোর ডাকাত ও গলাকাটা ব্যবসায় নেমেছি এবং যারা গলাকাটা ব্যবসা করছেন তাদেরকে শায়েস্তা না করলে কক্সবাজারের পর্যটন বাঁচবে না” আনকোড। আবার এক সাংবাদিক ভাই লিখেছেন “এক প্লেট আলু ভর্তা ৩০০/- টাকা ও একবাটি ডাল ১৫০/- থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছি”। আমাদের জানা মতে আমাদের সমিতিভুক্ত ১১৫টি রেস্তোঁরার কেউই এই ধরনের গলাকাটা ব্যবসা করে নাই। তর্কের খাতিরে আমরা ধরেই নিলাম, যদি আমাদের সমিতিভুক্ত কোন রেস্তোঁরা বা আমাদের সমিতির বাহিরের রেস্তোঁরা থেকে এই ধরনের অস্বাভাবিক বিল আদায় করে থাকে তবে আপনারা ভোক্তা অধিকার অথবা জেলা প্রশাসক বরাবরে কিংবা আমাদের সমিতির বরাবরে বা আপনাদের পত্রিকায় এই রেস্তোঁরার বিল টাকা ছাপিয়ে দিলেন কেন ?

পরিশেষে সকলের কাছে সবিনয়ে অনুরোধ করছি আমাদের সমিতির ১১৫টি রেস্তোঁরায় দৃশ্যমান স্থানে খাবারের মূল্য তালিকা টাঙ্গানো আছে। আমরা আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় জেলা প্রশাসক বরাবরে বিনীত অনুরোধ করব, এখন থেকে কাঁচা বাজার, মাছ মাংসের দোকান ও মুরগীর বাজারে মূল্য তালিকা মনিটরিং করতে হবে। একই সাথে যত্রতত্র সুগন্ধা মোড়, সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের রাস্তা এবং কলাতলী মোড়ে পর্যটকদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতি ও অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে ফ্রাই পচাঁ মাছ ভাজার দোকান গুলো উচ্ছেদ করে প্রয়োজনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত উন্নত প্রযুক্তিতে মাছ ভাজার দোকান করা হোক। তাতে আমাদের কোন ধরনের আপত্তি নেই। এখন থেকে ভবিষ্যতে যদি আমাদের সমিতি ভুক্ত রেস্তোঁরার কোন অসাধু রেস্তোঁরা মালিক, সমিতির বাহিরের কোন রোস্তোঁরা গলাকাটা বানিজ্য করে থাকে, সেই ক্ষেত্রে আপনাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ সাথে সাথে ঢালাও ভাবে আমাদেরকে অশ্রাব্যভাষায় গালি গালাজ না করে, জেলা প্রশাসক মহোদয় বা ভোক্তা অধিদপ্তরে অথবা আমাদের সমিতি বরাবরে অভিযোগ করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।