সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :

বাংলাদেশ রেস্তোঁরা মালিক সমিতি, কক্সবাজার জেলা শাখার কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ নেতৃবৃন্দরা গত কয়েকদিন যাবত কতিপয় দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতারা ও প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গুটিকয়েক সম্মানিত সাংবাদিক ভাইয়েরা কক্সবাজারের পর্যটন সেক্টরকে সুপরিকল্পিত নানা সময়ে নানাবিধ মিথ্যা ও তথ্যনির্ভর নয় এই ধরণের কাল্পনিক, নেতিবাচক সংবাদ সমূহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নির্দিষ্ট কোন রেস্তোঁরার নাম উল্লেখ না করে ঢালাওভাবে সকল সম্মানিত রেস্তোঁরা মালিকদেরকে পর্যটকদেরকে জিম্মি করে গলাকাটা বানিজ্য করছি বলে মিথ্যা অভিযোগ করায় আমরা রেস্তোঁরা মালিক সমিতির পক্ষ হতে তার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা লক্ষ্য করেছি গত ১৬ই ডিসেম্বর ২১ইং এর আগে হতে অর্থাৎ নভেম্বর ২০২১ হতে সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের সমিতিভুক্ত রেস্তোঁরা সমূহ হতে একবাটি আলু ভর্ত্তা ৩০০/৩৫০(তিনশত টাকা/তিনশত পঞ্চাশ টাকা) বা ডাল ১৫০/২০০(একশত পঞ্চাশ টাকা হতে দুইশত টাকা) পর্যন্ত আদায়ের মিথ্যা অভিযোগ করেছেন যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আবার অনেক সাংবাদিক ভাই গতকাল ও আজ লিখেছেন আমরা যারা পর্যটন ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট আমরা নাকি ডাকাত, আমাদেরকে নাকি শায়েস্তা করতে হবে। সেই সাংবাদিক ভাইয়ের এই ধরনের দায়িত্ব জ্ঞানহীন বক্তব্যের আমরা তীব্র প্রতিবাদ করছি। আমাদের জানামতে, আমাদের সমিতিভুক্ত একশত পনেরটি রেস্তোঁরা হতে কোন অবস্থাতেই একপ্লেইট আলু ভর্ত্তা ৩০০/৩৫০ টাকা ও একবাটি ডাল ১৫০/২০০ টাকা আদায় করা হয় নাই। যদি এই ধরনের বিল/মেমো সম্মানিত পর্যটক ও সম্মানিত সাংবাদিক ভাইদের হাতে থেকে থাকে তবে তা আমাদের সমিতি বরাবরে অথবা জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবরে দাখিল করার জন্য বিনয়ের সাথে অনুরোধ করছি। একইভাবে কক্সবাজারের পর্যটন সেক্টরকে ধ্বংস ও হুমকির মুখে ফেলার জন্য শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি ব্যক্তিগত নাম যশ প্রচারের জন্য মিডিয়াকে ডেকে এনে দায়িত্ব জ্ঞানহীনভাবে গত ১৬ই ডিসেম্বর ২০২১ দুপুরের মধ্যে কক্সবাজারে ভিত্তিহীনভাবে মিথ্যা ও তথ্য নির্ভর না এ ধরনের সংবাদে দুইলক্ষাধিক পর্যটক কক্সবাজারে এসে পৌঁছে গিয়াছেন এবং সন্ধ্যায় আরও হাজার হাজার পর্যটক আসছেন মর্মে নীতিবাচক সংবাদ প্রচারের এবং রেস্তোঁরা সমূহ অতিরিক্ত অর্থ আদায় যেন না করতে পারে সেই নেতার নেতৃত্বে মনিটরিং সেল গঠন করেছেন বলায়, আমরা মনে করি পর্যটকরা আতংকিত ও ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে এই নীতিবাচক সংবাদ সমূহ যত্রতত্র প্রচার দেখে টানা তিন দিনের ছুটি সত্বেও গত শুক্রবার রাত হতে পঁচাত্তর শতাংশ পর্যটক কক্সবাজার ত্যাগ করেছেন। তারই অনুমান নির্ভর, মনগড়া ও কাল্পনিক প্রচারের জন্য সামাজিকভাবে কক্সবাজারের সকল সেক্টরের পর্যটক ব্যবসায়ীরা মারাত্মকভাবে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে আমরা মনে করি। আমাদের তথ্য ও পরিসংখ্যান মতে, ১৬ ডিসেম্বর ৭০/৮০ হাজারের অধিক পর্যটক কক্সবাজারে আসেন নাই। তার বক্তব্যের আলোকে দুই লক্ষাধিক পর্যটকের কক্সবাজারে রাত্রী যাপন ও রেস্তোঁরায় খাবার দাবারের ক্ষেত্রে সদাশয় সরকারের শতভাগ রাজস্ব ও ভ্যাট আদায় করে দেওয়ার জন্য উনি একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হয়ে রাজস্ব কর্মকর্তাদের সহায়তা করেছেন কিনা আমরা রেস্তোঁরা মালিক সমিতির পক্ষ হতে তারও উপযুক্ত ব্যাখ্যা দাবী করছি।

পরিশেষে আমরা সম্মানিত সাংবাদিক ভাইদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, ভাইয়েরা আমরা চোরও নই, ডাকাতও নই। আমাদের এই সেক্টরে আমাদের সন্তান সন্ততিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্জন করে আমাদের এই ব্যবসার হাল ধরেছেন। আমরাও মানুষ, আমরা বিবেক বিবর্জিত অমানুষ নই। হাতের আঙ্গুল যেমন পাঁচটি একই সমান না, তদ্রুপ যদি আমাদের অজান্তে কোন অর্থলোভী ও মৌসুমী পর্যটক ব্যবসায়ীরা তার খাদ্য মেনুর তালিকার অধিক বিল আদায় করে থাকে, তবে তা ভোক্ত অধিকারকে অথবা মাননীয় জেলা প্রশাসনকে অবহিত করুন। ঢালাওভাবে প্লিজ আমাদেরকে চোর ডাকাত বলবেন না।