মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজার জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার হত্যাকান্ডের আরো একজন সন্দেহজনক আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীর নাম ওবায়দুল করিম মামুন (৩৮)। তিনি কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ মুহুরী পাড়ার আবু বকরের পুত্র। শনিবার ২৭ নভেম্বর রাতে ঢাকার তোপখানা রোডের একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ নিয়ে জহিরুল ইসলাম সিকদার হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার হলো। এর আগে গত ১১ নভেম্বর শ্রমিক লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাংবাদিক ইমাম খাইরকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১৫। গত ২৭ নভেম্বর রাতে এজাহারভুক্ত আসামী এডভোকেট তাহের আহমদ সিকদার-কে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার করা ওবায়দুল করিম মামুনকে ঢাকার আবাসিক হোটেল থেকে এডভোকেট তাহের আহমদের সাথে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কক্সবাজার সদরের লিংকরোড স্টেশনে ঝিলংজা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নিহত জহিরুল ইসলাম সিকদার এর ছোট ভাই কুদরত উল্লাহ সিকদারের ব্যক্তিগত অফিসে তারা দুই ভাইসহ কর্মি-সমর্থকদের সঙ্গে নির্বাচনী আলাপ করছিলেন। এসময় একদল দূর্বৃত্ত মোটর সাইকেল যোগে এসে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে এবং কুপিয়ে জখম করে। এতে ৩ জন গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে। আহতদের মধ্যে কুদরত উল্লাহ’র অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ওইদিন রাতে চিকিৎসকরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। গত ৬ নভেম্বর সকালে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি থাকা জহিরুল ইসলাম সিকদার এর অবস্থাও আশংকাজনক হওয়ায় তাকে চিকিৎসকরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৭ নভেম্বর দুপুরে জহিরুল ইসলাম সিকদার মৃত্যূবরন করেন। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ ছিল, ইউপি নির্বাচনে স্থানীয় প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী ও তাদের সমর্থকেরা এ হামলা চালিয়েছে।

এ ঘটনায় গত ৯ নভেম্বর হামলায় আহত কুদরত উল্লাহ সিকদার বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে ২১ জনকে আসামি করে কক্সবাজার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কুদরত উল্লাহ গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে ঝিলংজা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূণরায় মেম্বার নির্বাচিত হন।

পুলিশ জানিয়েছে, রোববার ২৮ নভেম্বর দুপুরে এডভোকেট তাহের আহমদ সিকদার ও ওবায়দুল করিম মামুনকে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এনে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানান পুলিশ।