অনলাইন ডেস্ক:
আদালতে দন্ডপ্রাপ্ত বিএনপিনেত্রীর প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতা অনুধাবনে বিএনপি ব্যর্থ হয়েছে এবং একারণে খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে পাঠানো হবে কি না সেটি ভেবে দেখা হবে বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার দুপুরে একদিনের কক্সবাজার সফরে সেখানে বিমানবন্দরে পৌঁছুলে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী একথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া একজন শাস্তিপ্রাপ্ত আসামী। তিনি আদলতে জামিন পাননি। তার সাজা মওকুফ হয়নি। এসত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আইনে প্রদত্ত প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে তাকে কারাগারের বাইরে পরিবার-পরিজনের সাথে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বৃহস্পতিবার যে ভাষায় কথা বলেছেন, তাতে আমাদের মনে হচ্ছে, বেগম জিয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী যে মহানুভবতা প্রদর্শন করেছেন, সেটি তারা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী তার আদেশ পুণর্বিবেচনা করার মাধ্যমে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হবে কি না তা আমাদের ভাবতে হবে।’
‘খালেদা জিয়া প্রতিহিংসাপরায়ণ’ উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রতিহিংসার বশেই তিনি তার জন্মের তারিখ বদলে দিয়ে ১৫ আগস্ট কেক কাটেন, তার আমলে তার পুত্রের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়। প্রতিহিংসার বশেই তার পুত্রের মৃত্যুতে শোক জানাতে তার বাড়িতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও তিনি সৌজন্য করেও দরজা খোলেননি। এমন এক প্রতিহিংসাপরায়ণ মানুষের প্রতি প্রধানমন্ত্রী যে সহমর্মিতা দেখিয়েছেন, তা বিএনপি বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আমাদের ভাবতে হবে বেগম জিয়াকে আবার কারাগারে পাঠানো হবে কি না।’
সাংবাদিকরা এসময় গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়ায় চলাচলের সুযোগের দাবিতে আন্দোলনের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে এ দাবির সমর্থনে বলেন, তিনিও ছাত্রজীবনে গণপরিবহনে অর্ধেক ভাড়ায় চলাচলের সুযোগ পেয়েছিলেন৷
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন।