শাহেদুল ইসলাম মনির, কুতুবদিয়া:

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ৪ দিন ধরে নিশাত সোলতানা (২২) এক গৃহবধু নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। সে চকরিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের নুরুন্নবী পুত্র গোলাম মোস্তফা রোকনের স্ত্রী ও কুতুবদিয়ার মৃত মাহামুদুল করিমের মেয়ে।

সোমবার (২২ নভেম্বর) পিতৃহারা এতিম নিশাতের চাচা আনছারুল করিম বাদি হয়ে সোমবার চকরিয়া থানায় ৫জনকে বিবাদী করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন, অভিযুক্তরা হলেন, গৃহবধুর স্বামী মো. গোলাম মোস্তফা প্রঃ রোকন (২৬), মৃত আহমদ হোসেসের ছেলে নুরুন্নবী (৫০) প্রঃ নবী সওদাগর, তার স্ত্রী শামসুন্নাহার (৪৫), ছেলে নুরুল আবছার লিটন (২৮) ও নুরুল হুদা রিপন (২২)।

অভিযোগ সুত্রে প্রকাশ, বিগত তিন বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয় নিসাত ও রোকন দম্পতির। গত ১৯ নভেম্বর রাতে যৌতুকের টাকা দাবী করে শ্বাসরোধ করে হত্যার উদ্দশ্যে নিশাতকে মারধর করে। ঘটনার পরপরই নিশাতের কোন খবর পাওয়া যায়না। তার সন্ধানের জন্য যোগাযোগ করলে তার পরিবারকে কোন ধরণের সন্ধান দিচ্ছে না শশুর বাড়ির লোকজন।

এক লাখ টাকা যৌতুকের জন্য মারধর করে। এমনকি চুল ধরে টানা-হেঁচড়া এবং পা দিয়ে হত্যার জন্য গলা চাপে ধরে। আত্নীয়স্বজন মরধর খবর পেয়ে চকরিয়ায় গেলে নিশাতের শশুর বাড়ির লোকজন খোঁজ-খবর জানে না বলে জবাব দেন। যৌতুকের টাকার লোভে হত্যা করে লাশ গুম করেছে বলে দাবী পরিবারের।

এ বিষয়ে স্বামী গোলাম মোস্তফা প্রঃ রোকনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বাচ্চার বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে পানির বোতল নিয়ে নিশাতকে কয়েকটা আঘাত করি। ঘটনার একদিন পর শুক্রবার সকাল ১১টায় বাড়ি থেকে আমার স্ত্রী নিশাত কোথায় চলে গেছে। তবে যৌতুকের বিষয়টি সত্যি নয়।

চকরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ জুয়েল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, গৃহবধু নিখোঁজের বিষয়ে আনছারুল করিম বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।

উল্লেখ, বিগত ২০১৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর নিসাত সোলতানা সাথে মো. গোলাম মোস্তফা প্রঃ রোকনের চার লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে মোস্তাকিম নামে দুই বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে।