অনলাইন ডেস্ক: শিক্ষার্থীদের থেকে ‘অর্ধেক ভাড়া’ আদায় নিয়মের মধ্যে নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি খোন্দকার এনায়েত উল্লাহ। তিনি বলেন, বেসরকারি বাসে ‘হাফ পাস’র কোন কন্ডিশন সরকারি রাখে নি।

বাস চালক ও সহকারিদের অঘোষিত ধর্মঘটে শুক্রবারও মিরপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন রুটে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকে। তবে শেকড়, ভিআইপি, বিকাশসহ দুএকটি বাস চলাচল করতে দেখা যায়। এছাড়াও সরকারি বাস হিসেবে রাস্তায় ছিলো বিআরটিসির দোতলা বাস। সরকারি ছুটির দিন থাকায় এদিন সড়কে যানবাহন কম থাকলেও শিক্ষার্থী ও যাত্রীদের তেমন চাপ ছিল না।

শিক্ষার্থীদের দাবি মানা সম্ভব না জানিয়ে এনায়েত উল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার সিদ্ধান্ত সরকারি বাসে কার্যকর হতে পারে। এটা আমাদের নিয়মের মধ্যে নেই, সরকারও ভর্তুকি দেয় না। তবে সরকার ভর্তুকি দিলে এ বিষয়ে চিন্তা করা হবে।

ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়ে কোন আলোচনা বৈঠক করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এনায়েত উল্লাহ বলেন, সমস্যার সমাধান সরকার দিতে পারে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার আমাদের নেই।

যদিও এর আগে ‘হাফ পাস’র আশ্বাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি অনাদায়ে শনিবার থেকে কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানোর পর বাস ভাড়া পুনরায় নির্ধারণ করে বিআরটিএ। তবে সিটিং সার্ভিস ও ওয়েবিলের নামে তার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করছে বাস চালক ও সহকারিরা। এছাড়াও দীর্ঘদিন থেকে অর্ধেক ভাড়ায় যাতায়াত করলেও এখন তা নিয়ে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণ করা হচ্ছে।

ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী রকিব হাসান জানান, হাফ ভাড়া দেওয়ায় বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের লাঞ্চিত করার পাশাপাশি মারধর ও বাস থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এরই প্রেক্ষিতে আমরা হাফ পাসের দাবি আদায়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করি। বৃহস্পতিবার ঢাকা কলেজের সামনে কিছু বাস আটকে বিক্ষোভ করলে পুলিশ ও পরিবহন কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।