অনলাইন ডেস্ক: গত ২২ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া চার মিনিটের ভিডিওতে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ ছাড়াও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এবং রাষ্ট্রীয় দুটি সংস্থা নিয়ে নানা আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন মেয়র জাহাঙ্গীর।

তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন এবং বঙ্গবন্ধুর দেশ স্বাধীন করার উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

তীব্র সমালোচনার মুখে পরে আরেক ভিডিও বার্তায় মেয়র দাবি করেছিলেন, ফেসবুকের ভিডিওটি সুপার এডিট করে প্রচার করে তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করা হচ্ছে।

ফেসবুকে মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পর তার শাস্তির দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে ২৩ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভ করেন গাজীপুর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। একই দিন টঙ্গী স্টেশন এলাকায় রেললাইনে আগুন দেন বিক্ষুব্ধরা। আগুনের কারণে সারা দেশের সঙ্গে দেড় ঘণ্টা রেল চলাচল বন্ধ থাকে।

বিষয়টি নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে পড়ে গাজীপুরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। পরদিন ২৪ সেপ্টেম্বর একদিকে জাহাঙ্গীর আলমের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা দেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

অন্যদিকে একই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসডিজি অগ্রগতিতে পুরস্কার পাওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা দেন সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর। পাল্টাপাল্টি এ সমাবেশ নিয়ে উভয়পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

পরে গত ৩ অক্টোবর জাহাঙ্গীর আলমকে দলীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত শোকজের চিঠি ইস্যু করে ১৫ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়।

মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জবাব দিয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন।