এম.এ আজিজ রাসেল :
কক্সবাজারে আলোচিত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার ৭ম দফায় তৃতীয় দিনের সাক্ষী মামলার তদন্ত কর্মকর্তার অসমাপ্তির মধ্যদিয়ে সাক্ষ্যগ্রহন শেষ হয়েছে। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের ২৯,৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছেন আদালত।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমালের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহন শেষ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ গত দুইদিনেও শেষ না হওয়ায় আদালত পরবর্তী ২৯,৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর দিন ধার্য্য করেন।

এদিকে বিকেল সাড়ে ৫টায় আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এজলাস থেকে বের করে আসামিদের পুলিশের প্রিজনভ্যানে তোলার সময় তাকে কাঁদতে দেখা গেছে। এর আগে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আদালতে আনা-নেওয়ার সময় এভাবে প্রকাশ্যে কখনো কাঁদেননি (ওসি) প্রদীপ।

মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, মেজর সিনহা হত্যা মামলার ৭ দফায় ৩দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। তবে এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ স্বাক্ষী হচ্ছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ অসমাপ্ত থেকে যায়। এ কারণে আদালত পরবর্তী ২৯, ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর দিন ধার্য্য করেছেন। ৭দফায় তিনদিন ধরে চলা সাক্ষ্যগ্রহনে দুইদিনই মামলার তদন্তকারী এএসপি খাইরুল ইসলামের সাক্ষ্য নেয়। এর আগের দিন অপর গুরুত্বপূর্ণ স্বাক্ষী সহকারি পুলিশ সুপার মো: জামিনুর হকের জেরা সম্পন্ন করা হয় । উক্ত মামলায় এ পর্যন্ত ৬৫ জন সাক্ষীর সাক্ষগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।’

ওসি প্রদীপের আইনজীবী এড. রানা দাশ গুপ্ত জানান, সিনহা হত্যা মামলার বিচার কার্য শেষ পর্যায়ে আছে। ইতোমধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা চলছে। এরপরই আসামী জিজ্ঞেস করা হবে তাদের কোন বক্তব্য আছে কিনা। এটা বলা হয় ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৪২ ধারার জবানবন্দী। তারপর আসামীদের প্রশ্ন-উত্তর শেষে এই মামলার রায় হবে।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯ টায় ওসি প্রদীপ সহ এই মামলার ১৫ জন আসামিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আদালতে নিয়ে আসা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।