মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
চকরিয়ায় পুলিশের নামে ইউপি মেম্বারের অর্থ দাবীর অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের প্রতি জনগণের আস্তার সিরিজ যখনই দীর্ঘ হচ্ছে এসময় ঘটেছে এ ঘটনা। টাকা দিলে আসামীর নাম বাদ দিয়ে মামলায় অন্য কাউকে ঢুকিয়ে দিবেন। তাই আপাততঃ পনের হাজার টাকার জন্য এক রিক্সা চালককে দিনরাত ফোন করছিলেন ডুলাহাজারা ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার শাহাবুদ্দিন। মেম্বারের টাকা দাবির ভয়েজ রেকর্ড থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
ভুক্তভোগী রিক্সা চালক আব্দুর রহিম অভিযোগে জানান, তিনি ডুলাহাজারা ২নং ওয়ার্ডের ফজল করিমের ছেলে। গত ৫-৬ বছর ধরে ৫নং ওয়ার্ড উত্তরপাড়া এলাকায় বাড়িঘরে বসবাস করছেন। রিক্সা চালিয়ে সাধারণ জীবনযাপন করেন এবং কোনপ্রকার মাদকের সাথে তিনি জড়িত নয়। এ অবস্থায় কোন এক মামলার কথা বলে শাহাবুদ্দিন মেম্বার পনের হাজার টাকা দাবি করছেন। টাকা দাবির ১২ টি ভয়েস রেকর্ডও রয়েছে আমার হাতে। সেখানে ইসালাম আহমদ নামের ব্যক্তিও রয়েছে। বর্তমানে নিরপরাধ হয়েও পুলিশের ভয়ে আমি বাড়িতে থাকতে পারছি না।
এ ব্যাপারে ডুলাহাজারা ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার শাহাবুদ্দিন বলেন, একটি মাদক মামলার আসামী “আবদুর রহিম” নামে কাউকে চিনে কিনা থানা পুলিশ আমাকে জানায়। মামলায় রিক্সা চালক রহিমের পিতার নাম কিছুটা মিল রয়েছে। আমি তাকে বাঁচাতে সহযোগিতা করতে চেয়েছিলাম। তার থেকে কোন প্রকার টাকা-পয়সা দাবি করিনি।
অপরদিকে, স্থানীয় লোকজন জানায় রিক্সা চালক রহিম কখনো বিড়ি সিগারেট খেতে আমরা দেখিনি। আমাদের চোখের সামনে সে রিকশা চালিয়ে কোনমতে সংসার চালায়। মাদকের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি যদি সঠিক না হয়, মেম্বারের টাকা দাবির বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানায় তারা। এনিয়ে এলাকাবাসী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এব্যাপারে চকরিয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের কাছে প্রেরিত একটি মাদক মামলায় শাহাবুদ্দিন মেম্বারের এলাকার আব্দুর রহিম নামের একজনের নাম রয়েছে। আমি আসামী সনাক্ত করতে মেম্বারের সহযোগিতা চেয়েছি। আমি কারো কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেয়ার কথা বলিনি। তাছাড়া পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে কেউ কারো কাছ থেকে অর্থ দাবি করলে তারও আইনগত শাস্তির বিধান রয়েছে।