সময়নিউজ: গত ৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। রোববার (৭ অক্টোবর) বৈঠকে ওই কার্যবিবরণী অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে এ তথ্য উঠে এসেছে।

সংসদীয় কমিটির আগের বৈঠকে মাদক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানগণ দেশের মাদক পরিস্থিতি ও মাদক প্রতিরোধে তাদের কার্যক্রম তুলে ধরেন।

র‍্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কক্সবাজার এলাকার বিভিন্ন মাদরাসা, স্কুল ও কলেজের শিক্ষকরা মাদক ব্যবসায় জড়িত। স্থানীয়রা একে পার্টটাইম ব্যবসা মনে করেন।

মাদক ঠেকাতে সীমান্তে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানান র‍্যাবের মহাপরিচালক। বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে ইয়াবা রোধ করা ‘একটু কঠিন’ হলেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে।

তিনি বলেন, প্রথমে শখের বসে মাদক সেবন করেন তারা। পরে মাদকাসক্ত হয়ে গেলে চোরাকারবারীরা তাদের খুচরা বিক্রেতা হিসেবে ব্যবহার করে।

আব্দুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নয়, সব শ্রেণির জনগণ একসঙ্গে মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে মাদক নির্মূল করা সম্ভব হবে। বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার কারণে সুন্দরবনের বনদস্যু ও জলদস্যুরা আত্মসমার্পণ করেছে। মাদকপাচারকারীদের জন্য এ ব্যবস্থা করা গেলে সফলতা আসবে।

সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববারের বৈঠকে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ডোপ টেস্ট চলমান থাকায় ধন্যবাদ জানিয়েছে কমিটি।

শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পীর ফজলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ এবং রুমানা আলী অংশ নেন।