মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

৪০ হাজার পিচ ইয়াবা টেবলেট পাচারের দায়ে ৫ জন রোহিঙ্গা ইয়াবাকারবারীর প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডের রায় দেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজারের জেলা ও জজ মোহাম্মদ ইসমাইল মঙ্গলবার ২ নভেম্বর তাঁর আদালতে এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এডভোকেট ফরিদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামী হলো-নুরুল ইসলাম, রশিদ আহমদ, বায়তুল্লাহ, আবুল হোসেন ও সিরাজুল ইসলাম। তারা সকলেই টেকনাফের লেদা অস্থায়ী শরনার্থী ক্যাম্পের আশ্রিত রেজিস্ট্রাড রোহিঙ্গা এবং মায়ানমারের মংডুর নাগরিক।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ হলো-২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রোর একটি টিম টেকনাফের হ্নীলা বাস স্টেশনের জামাল মার্কেটের তৃতীয় তলায় ডায়মন্ড আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ৫ রোহিঙ্গা ইয়াবাকারবারীকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে প্রত্যকের লুঙ্গীর ভিতরে কোমরে বাঁধা অবস্থায় থাকা ৮ হাজার করে মোট ৪০ হাজার পিচ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করে। এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক এস.এম শামসুল কবির বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর : ৪৮/২০১৭, জিআর মামলা নম্বর : ৮৪৫/২০১৭ এবং এসটি মামলা নম্বর : ১৫৮৬/২০১৮ ইংরেজি।

মামলায় বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে উল্লেখিত ইয়াবাকারবারীর প্রত্যেককে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ এর ১১ ধারার টেবিল ৯(খ) মতে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করেন। অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড রায় ঘোষনা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত সকল আসামী আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর পলাতক রয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের পর সাজা কার্যকর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাজা শেষে আসামীদের মায়ানমারে পুশব্যাক করতে এবং রায়ের কপি কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ও ক্যাম্প ইনচার্জের নিকট প্রেরণ করতে রায়ে বলা হয়েছে।

রাষ্ট্র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন-পিপি এডভোকেট ফরিদুল আলম। আসামীদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন-এডভোকেট মোহাম্মদ জাকারিয়া, এডভোকেট মঈনুল আমিন, এডভোকেট মোবারক হোসেন, এডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরু ও এডভোকেট আবু হেনা মোস্তফা কামাল।