আতিকুর রহমান মানিকঃ
ঈদগাঁও উপজেলার পশ্চিম ভাদিতলায় বনভূমিতে তৈরী স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বনবিভাগ। এতে দখলমুক্ত হয়েছে তিন একর পাহাড়ী ভূমি।

শনিবার (৯ অক্টোবর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন মেহেরঘোনা রেঞ্জ ও সদর বিটের পশ্চিম ভাদিতলায় পাহাড় কেটে এসব স্থাপনা নির্মান করেছিলেন জনৈক আবুল কাশেম। এ নিয়ে বনবিভাগ মামলা করলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন আদালত।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের সদর রেঞ্জের রেঞ্জার একেএম আতা এলাহী বলেন, মেহেরঘোনা রেঞ্জের অাওতাধীন মেহের ঘোনা সদর বিটের ভাদিতলার চলাচলের পথে লাগোয়া পাহাড় কেটে বছর দুয়েক আগে পাকা স্থাপনা তৈরি করেন জনৈক আবুল কাশেম।
এরপর থেকে প্রতি বছর বর্ষায় বৃষ্টি হলেই পাহাড় কেটে নতুন নতুন বনজমি দখলে নিচ্ছিলেন তিনি। এভাবে পাহাড় কাটার ফলে পাহাড়ের মাটি রাস্তায় পড়ে জন ও যান চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছিল। একই সাথে পাহাড় ধ্বসের ঝুঁকিও তৈরী হচ্ছিল। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় বিট ও রেঞ্জ অফিসের দায়িত্বশীলরা গত বছর বেশ কয়েকবার অভিযান চালায়।

রেঞ্জ কর্মকর্তা আরও বলেন, অভিযানের পরেও তাকে নিবৃত্ত করতে না পেরে বন আইনে গত বছরের ১৮ নভেম্বর মেহেরঘোনা বিট কর্মকর্তা জাকির আহমেদ আদালতে মামলা করেন। চলতি বছরের ২ জুলাই স্থাপনা সরিয়ে নিতে আদেশ দেন আদালত।
কিন্তু স্হাপনা সরিয়ে না নেওয়ায় গত ২৮ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বনবিভাগকে স্হাপনা উচ্ছেদের আদেশ দেন।
আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে শনিবার (৯ অক্টোবর) অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে নির্মিত সেমিপাকা ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। একই সময়ে পাশে আরও বেশ কয়েকটি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

কক্সবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (উত্তর) আনোয়ার হোসেন বলেন, অভিযানের মাধ্যমে প্রায় তিন একর বনজমি উদ্ধার করা হয়েছে।

কিন্তু ঈদগাঁও থানার অদুরে ফকিরা বাজার এলাকায় বিশাল পাহাড় দখল করে নির্মিত ডজনাধিক স্হাপনা এখনো অক্ষত রয়ে গেছে।