এম.এ আজিজ রাসেল :
কক্সবাজার জেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে আগামী ১১ অক্টোবর থেকে ৩০৪টি মণ্ডপে শুরু হচ্ছে বাঙালিল সনাতনী সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। তাঁরমধ্যে ১৪৯টি প্রতিমা ও ১৫৫টি ঘট পূজা হবে। ১৫ অক্টোবর শুক্রবার সৈকতে বিজয়াদশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বৃহৎ এই উৎসব শেষ হবে। শনিবার (০৯ অক্টোবর) সকালে লালদিঘীর পাড়স্থ ব্রাহ্ম্য মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এড. রনজিত দাশ।

সভায় তিনি আরও বলেন, বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমদ, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামানসহ জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
শারদীয় দুর্গোৎসব ঘিরে কক্সবাজারের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। কক্সবাজারের ৮ উপজেলায় নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। করোনার কারণে এ বছরও সরকারি বিধিনিষেধ মেনেই দুর্গোৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মাস্ক ছাড়া কেউ মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন না।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা জানান, মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে মা দুর্গাকে বরণের প্রস্তুতি। এবার মা দুর্গা মর্ত্যলোকে আসবেন ঘোড়ায় চড়ে। আর দেবলোকে ফিরে যাবেন দোলায় চড়ে। এবার নবগঠিত ঈদগাহ উপজেলাসহ সদরে ৩৪টি প্রতিমা পূজা ও ২০টি ঘট পূজা হবে। এছাড়া কক্সবাজার পৌরসভায় ১১টি প্রতিমা ও ০৯টি ঘট পূজা হবে। রামুতে ২২টি প্রতিমা ও ১০টি ঘট পূজা, পেকুয়ায় ০৬টি প্রতিমা ও ০৩টি ঘট পূজা, চকরিয়ায় পৌরসভাসহ ৪৮টি প্রতিমা ও ৪৩টি ঘট পূজা, কুতুবদিয়ায় ১৩টি প্রতিমা ও ৩২টি ঘট পূজা, মহেশখালীতে পৌরসভাসহ ০১টি প্রতিমা ও ৩০টি ঘট পূজা, উখিয়ায় ০৭টি প্রতিমা ও ০৮ ঘট পূজা, টেকনাফে ০৬টি প্রতিমা পূজা এবং উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ০১টি প্রতিমা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি রতন দাশ, স্বপন পাল (নাজির), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক দীপক শর্মা দিপু, সরূপম পাল পাঞ্জু, মহিলা সম্পাদিকা দীপ্তি শর্মা, এড. প্রতিভা দাশ, কক্সবাজার পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বেন্টু দাশ, সাধারণ সম্পাদক জনি ধর, সদর উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এড. বাপ্পি শর্মা, সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে বাবলা পাল, বলরাম দাশ অনুপমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।