অনলাইন ডেস্ক: রোহিঙ্গাদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ভাসানচরকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক মহল এবং সেখানে অবস্থানরতদের সহায়তা দেবে খোদ জাতিসংঘ। এ বিষয়ে খুব দ্রুত বাংলাদেশের সঙ্গে এক সমঝোতা সই করতে যাচ্ছে জাতিসংঘ।

শনিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই চুক্তি সই হওয়ার কথা। বাংলাদেশের পক্ষে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) চুক্তিতে সই করবে।

সংশ্লিষ্টদের অভিমত, এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ভাসানচরকেন্দ্রিক সব ধরনের দূরত্ব দূর হবে এবং চুক্তির আলোকে জাতিসংঘ ভাসানচরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

ইতোমধ্যে ভাসানচরে প্রায় ২০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। সরকারের লক্ষ‌্য, আগামী এপ্রিলের মধ্যে আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে সেখানে পৌঁছে দেয়ার।

উল্লেখ্য, গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে লাখ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নেয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় দলে দলে রোহিঙ্গারা এসে কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছিল। সব মিলিয়ে কক্সবাজারে এখন প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক অবস্থান করছে।

এদিকে, বারবার চেষ্টা করেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে না পারায় কক্সবাজারের সামাজিক সমস্যা সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে তাদের একটি অংশকে হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু করে সরকার। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করে সরকার সেখানে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করেছে।

https://play.google.com/store/apps/details?id=cbncoxsbazartech.cbncox