মোঃ নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

সাতকানিয়ায় ভয়ংকর মাদক জব্দ করা হয়েছে। থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই কেজি ওজনের ক্রিস্টাল মেথ বা আইসসহ (ক্ষতিকর মাদক) দুইজন যুবককে আটক করেছে। আটককৃতদের মধ্যে একজন রোহিঙ্গা রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের কেরানীহাটের উত্তরে তেমুহনী নেজাম উদ্দিন এলপিজি গ্যাস পাম্পের সামনে একটি মিনি ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে মাদকসহ তাদের আটক করা হয়। এসময় মাদক পাচারে ব্যবহৃত গাড়িটি জব্দ করা হয়। একজন এনজিও কর্মী গাড়িটি ভাড়া করে বাসার আসবাবপত্র টেকনাফ থেকে ঢাকায় পাঠাচ্ছিলেন। এ সুযোগে চালকও হেলপার মিলে ভয়ংকর মাদক নিয়ে যাচ্ছে।

সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিকু সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আটক মাদক পাচারকারীরা হলো টেকনাফের বাহারছড়া কচ্ছপিয়া এলাকার গুরা মিয়ার পুত্র চালক
ফয়সাল আহমেদ (২৯) ও উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প নং- ০৭ এর আনজুর হোসেন পুত্র জাহিদ আলম (২০)।

সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিকু জানান, বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদে খবর পেয়ে মহাসড়কের নেজাম উদ্দিন এলপিজি পাম্পের সামনে
(ঢাকামেট্রো-ড-১১-৯৩৪২) নাম্বারের একটি মিনি ট্রাককে সংকেত দিয়ে থামানো হলে কৌশলে চালক পালানোর চেষ্টা করে। পরে চালক ও হেলপারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ট্রাকের এয়ারকুলারের ভিতর থেকে উন্নত মানের পলি প্যাকেট ভর্তি দুই কেজি ক্রিস্টাল মেথ জব্দ করা। উদ্ধারকৃত ক্রিস্টাল মেথের আনুমানিক মূল্য ১০ কোটি টাকা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান  জিকু জানান, মোঃ আরিফুর রহমান নামের একজন এনজিও কর্মকর্তা টেকনাফ থেকে ঢাকায় বদলি হওয়াতে বাসার আসবাব পত্র নেওয়ার জন্য গাড়িটি ভাড়া করেন। এ সুযোগে গাড়ির চালক ও হেলপার মিলে এসব ভয়ংকর মাদক উচ্চ মূল্যে বিক্রির উদ্দেশ্য ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছেন। মাদক উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আনোয়ার হোসেন, থানার পরিদর্শক ওসি (তদন্ত) সুজন কুমার দে, উপপরিদর্শক শেখ লোঃ সাইফুল আলম ও উপপরিদর্শক জাকির হোসেন।