শেফাইল উদ্দিন :

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার প্রবাহমান ঈদগাঁও নাশি খাল ক্রমান্বয়ে জবর দখল হয়ে যাচ্ছে।একের পর এক নাশিখালের বেরিবাঁধ কেটে দখল করে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদগাঁও পালপাড়া বিল হাতে মেহেরঘোনা – মাইজপাড়া হয়ে চৌফলদণ্ডী খালে মিলিত হয়েছে এ ঈদগাঁও নাশিখাল। গত কয়েক বছর আগে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ নাশিখাল খনন করে দু পাশে বেরিবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে অনেক অনাবাদি জমিতে চাষাবাদ হচ্ছে। কৃষকরা শুষ্ক মৌসুমে এ নাশিখালের পানি দিয়ে জমি চাষ করে আসছে ।
কৃষি নির্ভর এ এলাকার কৃষি ,ক্ষেতখামার ,পানি সেচ,মৎস, গৃহস্থালির পানির ব্যবহার সহ অনেক কিছু নির্ভর করে এ নাশিখালের উপর । এ অঞ্চলের কৃষি নির্ভরশীল অধিকাংশ মানুষের জীবন জীবিকা এ নাশিখালের উপর নির্ভর করে।
সম্প্রতি একটি চক্র এ নাশিখালের বিভিন্ন স্থানে বেরিবাঁধ কেটে জবর দখল করে নিচ্ছে। কেউ কেউ এ বেরিবাঁধ কেটে ফসলি জমি বানাচ্ছে আবার কেউ কেউ এ বেরিবাঁধ কেটে ক্ষেত খামার করছে । মেহের ঘোনা থেকে মাইজপাড়া হয়ে ঘোনা পাড়া পর্যন্ত প্রায় বেরিবাঁধ কেটে জবর দখল করে নিয়েছে। ফলে নাসিখাল বিলীন হয়ে যাচ্ছে । হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে এ অঞ্চলের চাষাবাদ, মৎস্য ও ক্ষেত খামার । ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ঈদগাঁও মাইজপাড়া এলাকার গিয়াস উদ্দিন বাবু,মোঃ,জকরিয়া, শাহজাহান সহ অনেকে জানান, প্রতিদিন দিন দুপুরে এ বেরিবাঁধ কেটে ফেলা হচ্ছে কিন্তু এ বেরিবাঁধ রক্ষায় এগিয়ে আসছে না কেউ।
এ ব্যাপারে নাশিখাল সংরক্ষণ ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাফি আনোয়ারের সাথে কথা হলে সত্যতা নিশ্চিত করে জানান এ ব্যাপারে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মহোদয়কে অবগত করেছি ঈদগাঁও নাশিখালকে জবর দখল মুক্ত করে টেকসই বেরিবাঁধ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।
ঈদগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলমের মোবাইলে বারবার রিং দিয়ে ও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে দেখা হবে বলে জানান।
এলাকাবাসী জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।