সিবিএন ডেস্ক:
দুই সপ্তাহের বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে শুক্রবার (১ অক্টোবর) রাত সোয়া ১১টায় তিনি রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এ সময় বিমানবন্দরে মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধানসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে এই সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৫টায় সফরসঙ্গীদের নিয়ে ঢাকার পথে যাত্রা করেন। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম এবং জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

পরে শুক্রবার স্থানীয় সময় সকালে ফ্লাইটটি ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি-ভানতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফিনল্যান্ডে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত (অনাবাসিক) মো. নাজমুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান। হেলসিঙ্কিতে ঘণ্টা দুয়েকের যাত্রাবিরতির পর ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। পরে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত ১১টা ১৩ মিনিটে বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতে দুই দিনের যাত্রাবিরতির পর ১৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্কে পৌঁছান।

নিউ ইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলায় ভাষণ দেন। ১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে অবস্থানকালে তিনি বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের ও রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যোগ দেন এবং বিভিন্ন সরকার, রাষ্ট্র ও সংগঠনের প্রধানের সঙ্গে কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন। পরে ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি নিউ ইয়র্কে তাঁর সপ্তাহব্যাপী সরকারি সফর শেষে ওয়াশিংটন ডিসি’র উদ্দেশে নিউ ইয়র্ক ত্যাগ করেন।

প্রধানমন্ত্রী ২০ সেপ্টেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর সম্মানে জাতিসংঘ সদর দফতরের নর্থ লনের ইউএন গার্ডেনে একটি গাছের চারা রোপণ এবং একটি বেঞ্চ উৎসর্গ করেন।