রোহিঙ্গা শীর্ষ নেতা মহিবুল্লাহ হত্যায় মামলা দায়ের, আসামী অজ্ঞাত

প্রকাশ: ১ অক্টোবর, ২০২১ ০২:২৫

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


নিহত রোহিঙ্গা নেতা মুহিব্বুল্লাহ (ইনসেট) ও মামলার বাদী ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকান্ডের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত মুহিবুল্লাহ’র ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে উখিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

উখিয়া থানার ওসি সনজুর মোরশেদ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে হত্যাকান্ডের বিবরণ দেওয়া হলেও কোন সুনির্দিষ্ট আসামীর নাম উল্লেখ করা হয়নি। আসামী অজ্ঞাত রাখা হয়েছে। ফৌজদারী দন্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। যার উখিয়া থানা মামলা নম্বর ১২৬ /২০২১ ইংরেজি।

আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিচ এন্ড হিউম্যান রাইটস এর চেয়ারম্যান মাস্টার মুহিবুল্লাহ গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং লম্বশিয়া রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের এআরএসপিএইচ কার্যালয়ে তার অনুসারীদের নিয়ে আলাপরত অবস্থায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হন।

বৃহস্পতিবার ৩০ সেপ্টেম্বর মুহিবুল্লাহ’র লাশ ময়নাতদন্তের পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নেওয়া হয়। সেখানে আসরের নামাজের পর উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্প-১, ইস্ট ২ নম্বর কেন্দ্রে তাঁর বিশাল নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে রোহিঙ্গাদের এই শীর্ষ নেতাকে পার্শ্ববর্তী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। জানাজায় হাজার হাজার রোহিঙ্গা অংশ নেয়। রোহিঙ্গারা তাদের প্রিয় নেতাকে আকস্মিক হারিয়ে ফেলায় জানাজায় হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

মুহিবুল্লাহ মিয়ানমারের মংডুর সিকদার পাড়ায় ১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারী জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ফজল আহমদ, মাতার নাম উম্মুল ফজল। তিন ভাই, চার বোনের মধ্যে মুহিবুল্লাহ সবার বড়। মুহিবুল্লাহ বিবাহিত এবং ৯ সন্তানের জনক ছিলেন। মিয়ানমারে থাকতে তিনি একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। শিক্ষকতার সূত্রে তিনি ‘মাস্টার মুহিবুল্লাহ’ নামেও পরিচিত।