সিবিএন ডেস্ক:
গেল রোববার ৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ঝরল প্রাণ। এতে ক্ষোভে ফুঁসছেন মুসলিমরা। বিরাজ করছে থমথমে পরিবেশ।

যতই দিন যাচ্ছে আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠছে ইসরাইল। ইসরাইলি বাহিনী প্রতিনিয়তই হত্যা করছে ফিলিস্তিনিদের। এর ধারাবাহিকতায় দুদিনে ঝরল আরও প্রাণ।

জেরুজালেমে এক নারীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। ওই নারী পশ্চিম তীরের বাসিন্দা।

অধিকৃত পশ্চিম তীরে প্রতিনিয়তই চলছে অভিযান। এতে সেখানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু প্রশাসনের থেকে নাফতানি বেনেত প্রশাসন আরও বেশি আগ্রাসী বলে অভিযোগ ফিলিস্তিনিদের। তাদের কোনো অধিকারই আমলে নেওয়া হচ্ছে না বলেও দাবি করা হয়।

গেল রোববারও ৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরাইলি বাহিনী। তাদের চারজনই হামাস সদস্য বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় হামাস প্রতিরোধের ডাক দেয়। এর আগে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস দখলদারদের এক বছরের মধ্যে দখল করা ভূমি ছেড়ে যাওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেন।

এর আগে পশ্চিমতীরের জেরুজালেম ও জেনিন এলাকায় ইসরায়েলি অভিযানে চার ফিলিস্তিনি নিহত হন। রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে দখলদার বাহিনীর অভিযানে এই প্রাণহানি ঘটেছে।

কর্মকর্তাদের বরাতে বার্তা সংস্থা ওয়াফা বলছে, বুরকিন ও আশপাশের এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে ওসামা সোবহ নিহত হয়েছেন। এ সময়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধও হয়েছে।

আর বিদ্দুর কাছে বাইত আনান শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে আহমাদ জাহরান, মাহমুদ হামাইদান ও জাকারিয়া বিদওয়া নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম বলছে, হামাস যোদ্ধাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হয়েছে। রামাল্লার পার্শ্ববর্তী বিরজেইত শহরের ফিলিস্তিনি জাদুঘর জানিয়েছে, জাকারিয়া বিদওয়া তাদের পূর্ণকালীন কর্মী ছিলেন। খোশমেজাজি চরিত্র, বন্ধুসুলভ ব্যবহার, হাসিখুশি ও উচ্ছ্বাসিত মুখের জাকারিয়াকে আমরা স্মরণ করছি। তার নিহত হওয়ার হওয়ার ঘটনায় আমরা দুঃখভারাক্রান্ত ও বেদনাহত।

পশ্চিমতীরের শহর ও গ্রামে ইসরায়েলি আগ্রাসন প্রায় নিয়মিত ঘটনার অংশ। এর আগে গত মাসে জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।